তানোরে শ্রেণিকক্ষে সার গুদামজাত, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর তানোরে নারয়ানপুর দ্বিতীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে বিসিআইসির (বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন) সার গুদামজাত করে রাখা হয়েছে। তবে সার ডিলার সুমন শীল প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে শ্রেণিকক্ষে সার রেখেছেন বলে দাবি করেছেন। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও সুমন শীলের বিরুদ্ধে রাতের আধারে সার পাচারেরও অভিযোগ তুলেছেন কৃষকরা। এঘটনায় ডিলার সুমন শীল ও ম্যানেজার রতন এবং প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবি তুলেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার তালন্দ ইউনিয়ন ইউপির নারায়নপুর দ্বিতীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর দিকের পাকা শ্রেণিকক্ষে ২০০০ হাজার বস্তা সার গুদামজাত করা হয়েছে। কক্ষের মেঝেতে পড়ে রয়েছে সার। এসব সারের নাইট্রোজেন গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছে অন্য শ্রেণিকক্ষে, যা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। যার কারণে স্কুলেও থাকতে পারছেন না শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, সার রাখবে ডিলারের গুদামে কিন্তু প্রথম শুনলাম স্কুলের শ্রেণিকক্ষে সার গুদামজাত করা হয়েছে। আবার রাতের আধারে পাচারও করা হচ্ছে।

ডিলার সুমন শীল জানান, প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে রাখা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক অনুমতি না দিলে রাখতাম না।

প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন জানান, ‘ডিলার ও বিএস রাজিবুল এবং কৃষি অফিসার বলার পরে রাখা হয়েছে। জনগণের স্বার্থে একাজ করা হয়েছে।’ কিন্তু বিএস রাজিবুল জানান, আমি কোন সার রাখতে বলিনি।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদকে ফোন দেওয়া হলে তিনি জানান, আমি কেন সার স্কুল ঘরে রাখতে বলবো? ডিলার কেন রেখেছে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, স্কুলের কক্ষে সার গুদামজাত করা যাবে না। দ্রত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জি/আর