সোমবার , ৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে মিরপুরের ৮ কারখানায় ছুটি

Paris
ডিসেম্বর ৪, ২০২৩ ১:৪৪ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :
বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।

কারখানা শ্রমিক ও কর্মকর্তারা জানান, রিস্যাল এপারেলস (সারস গার্মেন্ট ভবন) কারখানায় শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যারের দাবিতে শনিবার শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করে। সোমবার কারখানাটি ১৩/১ ধারা মোতাবেক বন্ধ ঘোষণা করে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আশেপাশের কারখানা শ্রমিকদের বের করে আনার জন্য বিক্ষোভ শুরু করে।

শ্রম আইনের ১৩-এর ১ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো শাখা বা বিভাগে বেআইনি ঘর্মঘটের কারণে মালিক উক্ত শাখা বা প্রতিষ্ঠান অংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করিয়া দিতে পারিবেন এবং এরুপ  বন্ধের ক্ষেত্রে ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারী  শ্রমিকগণ কোনো মজুরি পাইবেন না।

সোমবার সকালে বিক্ষোভের সময় ভিশন এ্যাপারেল কারখানার গেটের বৈদ্যুতিক এলার্ম বক্সসহ গেটের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ভেঙে যায়। ইট-পাটকেলের আঘাত লাগে এমবিএম, লোডস্টার ও মিড এশিয়া গার্মেন্টস  কারখানা গেটে।

বন্ধ ভিশন কারখানার কিউসি ম্যানেজার এনায়েতুল্লাহ হিরা বলেন, পাশের কারখানার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা  ভিশন গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ করে শ্রমিকদের বাইরে বের হয়ে আসার জন্য ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। শেষে কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়, শ্রমিকরা সবাই বাইরে বের হয়ে চলে যায়।

এ সময় ড্রিম ওয়্যার লিমিটেড, লোডস্টার এপারেল, এমবিএম ফ্যাশন, ভিসন এ্যাপারেলস, মিড এশিয়া ফ্যাশনস, মন্টলি এ্যাপারেলস, জুকি গার্মেন্টসহ আশেপাশের সব কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এ বিষয়ে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফারুকুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, গত আন্দোলনে বেশকিছু শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল সারজ কারখানার মালিক। এ নিয়ে শ্রমিকরা কারখানা প্রশাসনের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। এই সব শ্রমিক কারখানায় এসে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেওয়ার দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করে। আজ কারখানা কর্তৃপক্ষ ১৩/১ ধারা মোতাবেক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করলে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন আছে। পরিস্থিতি শান্ত।

কারখানা বন্ধ ঘোষণার পরও আশে-পাশের সড়ক, গলিতে শ্রমিকদের অবস্থান করতে দেখা যায়। কারখানার শ্রমিকরা মমেনা বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মজুরি বৃদ্ধির জন্য আমরা আন্দোলন করেছি। এখন কারো কারো বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তারা অফিসে আসতে পারছে না। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নিতে হবে, তাদের অফিসে কাজ করতে দিতে হবে। তারা বাইরে থাকবে, এটা চলবে না। এই জন্য আমরা সব কারখানা বন্ধ করে শ্রমিকদের বাইরে বের হতে বলেছি।

সর্বশেষ - জাতীয়