শেষ মূহুর্তে সরগরম রাজশাহীর পুজো সামগ্রীর দোকান

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ মহা নবমী। কিছুক্ষণ পরেই বেজে উঠবে মায়ের বিদায়ের ঘণ্টা। তাই রাজশাহীতে শেষ মুহূর্তে সরগরম হয়েছে পুজো বাজার। বৃহস্পতিবার( ১৪ অক্টোবর) নগরীর সাহেব বাজারের দশকর্মার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। কেউ বা আলতা-সিঁদুর আবার কেউ ধূতি-পাঞ্জাবি কিনতে ব্যস্ত।

নগরীর সাহেব বাজারের সবচেয়ে জনপ্রিয় দোকান মোহিনী ট্রেডার্স। দোকানের মালিক পলাশ সরকার শাওন বলেন, ‘আমাদের দোকানে পুজোর বিভিন্ন সামগ্রী যেমন-শাড়ি,ধূতি,মালা,চন্দন কাঠ,ধূপ,মধু,ঘি পাওয়া যায়। তবে বিগত বছরগুলার তুলনায় এ বছর বেচা বিক্রি কিছুটা কম হলেও বেশ ভালোই বিক্রি হয়েছে। এখন পাইকারি বিক্রি কমে গেছে কিন্তু শহরের যেসব পুজা হয় তার বেশিরভাগ সামগ্রীই আমাদের দোকান থেকে বিক্রি করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুর্গাপুজায় ক্রেতাদের সিঁদুর আলতার প্রতি চাহিদা বেশি থাকে। বরবরের মতো এবারও এ সামগ্রীগুলোই বেশি বিক্রি হয়েছে। প্রতিদিন দোকানে প্রায় ২০০-৩০০ কাস্টমার আসেন।’

বাজারের সবচেয়ে পুরোনো দশকর্মার দোকান অষ্ট। প্রায় ৯০ বছর যাবত এই ব্যবসা করছেন তারা। দোকানের মালিক মনোজ কুমার রায় সিল্কসিটিনিউজকে  বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রয়োজনীয় পণ্য আমাদের দোকানে পাওয়া যায়। দুর্গাপুজা উপলক্ষে বেচা-বিক্রি বেড়েছে। প্রতিদিন কয়েকশ ক্রেতা দোকানে ভিড় জমায়। বেলা বাড়লে এই ভিড় আরও বাড়বে। তবে ক্রেতারা দুর্গাপুজা উপলক্ষে সবচেয়ে বেশি ভিড় জমাচ্ছেন আলতা সিঁদুর,আরতির উপকরণ কিনতে।’

রাজশাহীর শিরোইলের বাসিন্দা মধুমতি দাস। তিনি বাজারে এসেছেন পুজোর শেষ মূহুর্তের কেনাকাটা করতে। তিনি বলেন, ‘আগামীকালই মা বিদায় নিবেন৷ তাই মাকে শ্রদ্ধাভরে বিদায় জানানোর জন্য পূজোর বেশ কিছু উপকরণ কিনতে এসেছি। দোকানীরা দাম ঠিকঠাকই নিচ্ছেন। কোন কিছুর দাম এবার তেমন বৃদ্ধি পায়নি।’

আরেক ক্রেতা আলুপট্টির শাশ্বতী ব্যানার্জি।তিনি প্রতিবেদককে জানান,আগামীকাল বিজয়া দশমী। মন খারাপ হলেও সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়েই মাকে বিদায় জানাতে হবে। তাই কাল পরিবার, বন্ধু-বান্ধবসহ সকলের সাথে সিঁদুর খেলার জন্য  আজ সিঁদুর কিনতে এসেছি।

জেএ/এফ