স্পোর্টস ডেস্ক:
ইংল্যান্ডের দেওয়া বড় লক্ষ্য তাড়ায় মাত্র ১৪ ওভারেই ১৮৫ রান তুলে ফেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে জয়ের জন্য পরবর্তী ৬ ওভারে তাদের বলের চেয়েও কম ৩৪ রান প্রয়োজন ছিল। এর পরের চার ওভারে স্বাগতিক ক্যারিবীয়রা কোনো বাউন্ডারি পায়নি। এমনকি হারিয়ে বসে দুই উইকেট। এই অবস্থায়–ও এক ওভার হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে রভম্যান পাওয়েলের দল। ৫ উইকেটের জয়ে তারা সিরিজে ২-২ সমতা ফিরিয়েছে।
সেন্ট লুসিয়ার গ্রস আইলেট স্টেডিয়ামে এর আগে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ১৯৭ রান তাড়া করার রেকর্ড ছিল। সেই তুলনায় লক্ষ্যটা কিছুটা বেশি হলেও স্বাগতিক ক্যারিবীয় শিবির জয়ের মানসিকতা নিয়েই শুরু থেকে ব্যাটিং করে। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা ইংলিশদের সংগ্রহ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৮ রান। জ্যাকব বেথেল ও ফিল সল্ট ঝোড়ো ফিফটি করেছেন।
চযরষ ঝধষঃ ৎধরংবফ ধ ৩২-নধষষ যধষভ-পবহঃঁৎু, ডবংঃ ওহফরবং াং ঊহমষধহফ, ৪ঃয ঞ২০ও, এৎড়ং ওংষবঃ, ঘড়াবসনবৎ ১৬, ২০২৪
সফরকারী ইংলিশরা এই ম্যাচ জিতলেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যেত। তবে সমতা ফিরিয়ে শেষ ম্যাচটিকে অঘোষিত ফাইনালে পরিণত করল ক্যারিবীয়রা। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংলিশরা কাঙ্ক্ষিত শুরুই পায় দুই ওপেনার সল্ট–উইল জ্যাকসের কল্যাণে। ৫ ওভারেই দুজন মিলে তোলেন ৫৪ রান। আলজারি জোসেফের বলে জ্যাকসের (১২ বলে ২৫) বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক জস বাটলার ও সল্ট ৪৮ রান যোগ করেন দলীয় খাতায়।
ঔধপড়ন ইবঃযবষষ ৎড়ষষং ড়ঁঃ ধ ৎবাবৎংব-ংবিবঢ়, ডবংঃ ওহফরবং াং ঊহমষধহফ, ৪ঃয ঞ২০ও, এৎড়ং ওংষবঃ, ঘড়াবসনবৎ ১৬, ২০২৪
পছন্দের প্রতিপক্ষ ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এদিনও ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নিয়েছেন সল্ট। তবে ইনিংস আর লম্বা করতে পারেননি,৩৫ বলে ৫টি চার ও ৪ ছক্কায় তিনি ৫৫ রান করেন। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে সেটল হওয়া বাটলারও ফিরেছেন ৩৮ রানে। ২৩ বলে তিনি ২টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকান। ইংল্যান্ডের বড় পুঁজি আসে তরুণ বেথেলের ব্যাটে। বাঁ-হাতি এই অপরাজিত ব্যাটার ৩২ বলে ৪টি চার ও ৫ ছক্কায় করেন ৬২ রান। এ ছাড়া স্যাম কারান শেষদিকে ১৩ বলে ২৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন। ক্যারিবীয় স্পিনার গুদাকেশ মোতি নেন ২ উইকেট।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা যেমন প্রয়োজন ছিল সেভাবেই ব্যাট করেছেন দুই উইন্ডিজ ওপেনার এভিন লুইস ও শাই হোপ। দুজনেই ব্যক্তিগত ফিফটি পূর্ণ করেছেন। উদ্বোধনী জুটিতে তুলেছেন ১৩৬ রান। সেটাই মূলত স্বাগতিকদের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। রেহান আহমেদের বলে আউট হওয়ার আগে লুইস ৩১ বলে ৪টি চার ও ৭টি ছক্কায় করেন ৬৮ রান। রানআউটের ফাঁদে আটকানো হোপ করেন ৫৪ রান। মাত্র ২৪ বলে ডানহাতি এই ব্যাটার ৭ চার ও ৩ ছক্কার বাউন্ডারি মেরেছেন।
জবযধহ অযসবফ ঢ়রপশবফ ঁঢ় ঃযৎবব পড়হংবপঁঃরাব রিপশবঃং, রহপষঁফরহম ধ ৎঁহ-ড়ঁঃ, ঃড় ষরভঃ ঊহমষধহফ, ডবংঃ ওহফরবং াং ঊহমষধহফ, ৪ঃয ঞ২০ও, এৎড়ং ওংষবঃ, ঘড়াবসনবৎ ১৬, ২০২৪
মাঝে নিকোলাস পুরান (০) ও শিমরন হেটমায়াররা (৭) কিছুটা বিপদে ফেললেও বাকি কাজ সেরেছেন অধিনায়ক পাওয়েল ও শেরফান রাদারফোর্ড। যদিও পাওয়েলের বিদায়ে কিছুটা শঙ্কা ছিল ক্যারিবীয়দের। সেটিও উৎরে গিয়েছেন রাদারফোর্ড। পাওয়েল ২৩ বলে ৩৮ এবং রাদারফোর্ড জয় নিশ্চিত করে ফেরার আগে ১৭ বলে ২৯ রান করেন। শেষ দুই ওভারে ১৫ রান দরকার হলেও, এক ওভার হাতে রেখেই সেটি তুলে নেন এই ব্যাটার। ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন রেহান।