শুক্রবার , ৭ জুন ২০২৪ | ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

শেরপুর, ধুনট ও নন্দীগ্রামের ১৪ প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন

Paris
জুন ৭, ২০২৪ ১২:১৩ অপরাহ্ণ

 

বগুড়া প্রতিনিধি

ষষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদের চতুর্থ ধাপের নির্বাচন শেষ হয়েছে গত ৫ জুন। বগুড়ার শেরপুর ও ধুনট নন্দীগ্রাম, উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জনসহ মোট ১৪জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

বগুড়া জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানান, নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী মোট প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ পেতে ব্যর্থ হলে পরাজিত প্রার্থীরা তাদের জামানত ফিরে পাবেন না।

শেরপুর উপজেলায় মোট দুই লাখ ৯৩ হাজার ২৭৩ জন ভোটার। এর মধ্যে এ উপজেলায় মোট বৈধ ভোট পড়েছে ৮১ হাজার ৯২৬টি। ভোটের হার ২৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। বিধি অনুযায়ী প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ১২ হাজার ৭২৪ ভোট পেতে হবে। সেক্ষেত্রে চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ হান্নান (১৭৪১ ভোট), জাকারিয়া তারেক বিদ্যুৎ (৭৪৬ ভোট) ও রুবেল আহমেদ (৫০৮ ভোট) পাওয়ায় তাদের জামানত ফিরে পাচ্ছেন না। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বিধান কুমার ঘোষ (৭৪৭৩), সাইফুল বারী ডাবলু (৭৩৮৯) ও সাদ্দাম হোসেন (৫২৩০) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজা খাতুন (১০,৫৯১) জামানত হারাবেন।

তবে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল বারী ডাবলু ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একই পদে নির্বাচন করে প্রায় ৪৮ হাজার ভোট পেয়ে পরাজিত হলেও এবার তা অনেক কম গেছে। তিনি এবছরও শেরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ষাটোর্ধ বয়সী হেভিওয়েট প্রার্থী ছিলেন। এছাড়াও তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও দক্ষিণ বগুড়ার একজন প্রবীন সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত। তবে তার রাজনৈতিক বয়স বিশ্লেষনে বিজিত প্রার্থী সহ অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বিরা একেবারেই নবীন। তাই এমন নেতার পরাজয় ও জামানত হারানোর খবরে এলাকায় বেশ নেতিবাচক আলোচনায় পরিণত হয়েছে।

ধুনট উপজেলায় দুই লাখ ৫৫ হাজার ৩২৪ জন ভোটার। এর মধ্যে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৯৬ হাজার ৭০১ ভোট। প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ১৪ হাজার ৫০৫ ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পপি সাহা পেয়েছেন ১১ হাজার ৪২৪ ভোট, নাজনীল নাহার ১২ হাজার ১৭৬ ভোট ও সিমা আক্তার পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৮৮ ভোট। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ কম পাওয়ায় তাদের জামানত ফিরে পাবেন না।

একইভাবে নন্দীগ্রাম উপজেলায় মোট এক লাখ ৫৭ হাজার ১৯০ ভোটারের মধ্যে প্রদত্ত ভোটারের সংখ্যা ৭২ হাজার ৭১১ জন। প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ১০ হাজার ৯০৭ ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী নজিবুল্লাহ মজনু মন্ডল (৬৩৭ ভোট) ও মাহমুদ আশরাফ (৫৬৪ ভোট) পাওয়ায় তাদের জামানত খুইয়েছেন। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে আমিনুল ইসলাম (২ হাজার ৫৪২ ভোট) ও ইলিয়াস আলীর (১ হাজার ৪০২) ভোট পাওয়ায় তাদেরও জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, ফলাফলের গেজেট প্রকাশ হওয়ার পর এক মাসের মধ্যে প্রার্থীদের নির্বাচনি ব্যয়ের রিটার্ন জমা ও জামানত ফিরে পেতে রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করতে হবে।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর