শেখ হাসিনা বাংলাদেশে না আসলে এতো উন্নত দেশ আমরা পেতাম না: রাসিক মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশে না আসলে এতো উন্নত দেশ আমরা পেতাম না। শেখ হাসিনা না আসলে আমাদের ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশ হতে হতো। সেখান থেকে শেখ হাসিনা আমাদের বাঁচিয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। আর শেখ হাসিনা দেশ গড়ছেন। বাংলাদেশ এখন সুন্দর সমৃদ্ধ-উন্নত দেশ। উন্নয়নের শিখরে পৌছে গেছে বাংলাদেশ।

বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মঙ্গলবার বিকেলে মহানগরীর বাটার মোড়ে আয়োজিত বিশাল জনসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ই মে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দীর্ঘ ৬ বছরের বাধ্যতামুলক প্রবাস জীবন শেষে বঙ্গবন্ধুবিহীন এই বাংলাদেশে পা রেখেছিলেন। দেশে ফিরে আসার পথে বিমানে বাবা-মা, ছোট ভাই শেখ রাসেল ও বাংলাদেশের কথা চিন্তা করে বারবার কেঁদেছিলেন তিনি। সেদিন বিমানবন্দরে লাখ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছিল। বিমানবন্দর থেকে মানিক মিয়া এভিনিউতে যেতে সময় লেগেছিল প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা। পথে পথে লাখ লাখ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বৃষ্টিতে সিক্ত হয়েও দাঁড়িয়ে ছিল শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখার জন্যে। তারা স্লোগান দিয়েছিল, ‘শেখ হাসিনা ভয় নাই, আমরা আছি লক্ষ ভাই, শেখ হাসিনা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই।’

সমাবেশে রাসিক মেয়র লিটন বলেন, শেখ হাসিনার এদেশে গণতন্ত্রের পথে যাত্রা সুখকর ছিল না। নানা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। তিনি গ্রামে গঞ্জে তৃণমূলে গেছেন, বঙ্গবন্ধুর পরে একমাত্র তিনিই জানেন তাঁর আওয়ামী লীগের কর্মীরা দেশের কোথায় কারা আছে। দেশকে এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনা এদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সাল পরবর্তী বাংলাদেশের অবস্থা আমরা ভুলিনি। জিয়াউর রহমান মৌলবাদীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। সেই ইতিহাস আমরা ভুলিনি। বাংলাদেশকে পাকিস্তানে পরিণত করতে যা যা করার দরকার সব করেছিলেন জিয়াউর রহমান। সেই ইতিহাস ভুললে চলবে না
জনসমাবেশে বাটার মোড়ের চত্বরকে জয় বাংলা চত্বর হিসেবে ঘোষণা করেন রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।

জনসমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা হত্যা ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

জনসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার। মঞ্চে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য বেগম আখতার জাহান।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. মনসুর রহমান ও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আদিবা আঞ্জুম মিতা। সমাবেশে বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাকিরুল ইসলাম সান্টু, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা।

আরও বক্তব্য দেন মহানগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, জেলা যুবলীগ সভাপতি আবু সালেহ, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মমিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রেন্টু, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু। জনসমাবেশে সঞ্চালনা করেন নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু।

জি/আর