‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যার নীলনকশা অব্যাহত’

১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড এবং ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেছেন, ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের প্রাইম টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আজও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যার নীলনকশা ও ষড়যন্ত্রের অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

মঙ্গলবার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যৌথসভা কর্মসূচি নিয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের সংসদ ভবনের বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধমে সভায় যুক্ত হন।

প্রতিবছরের মতো এবারও শোকের মাসে মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। তবে করোনাভাইরাস সংকটের কারণে এবার কর্মসূচির প্রায় সব আয়োজন হবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। পাশাপাশি সীমিত উপস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতির পিতার সমাধি ও প্রতিকৃতি এবং বনানীতে ১৫ আগস্টের শহীদদের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনের পর্বও থাকবে।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সহযোগী সংগঠন এবং তৃণমূল আওয়ামী লীগও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আগস্ট মাসের কর্মসূচি পালন করবে।

সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, আগস্ট মাস শোকের মাস। আগস্ট মাসে আমাদের অনেকগুলো কর্মসূচি রয়েছে। ১৫ই আগস্ট সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। এ ছাড়া ৫ আগস্ট জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের জন্মদিন, ৮ আগস্ট বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জন্মদিন, ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবস, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস পালন করে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড এবং ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। পৃথিবীতে যত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, নির্মমতা ও ষড়যন্ত্রের দিক থেকে ১৫ আগস্টের ঘটনা অন্য সব হত্যাকাণ্ডকে পেছনে ফেলেছে। এই হত্যাকাণ্ড থেকে বাদ পড়েনি অবুঝ শিশু থেকে অবলা ও অন্তঃসত্ত্বা নারীও। ১৫ আগস্টের প্রাইম টার্গেট ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের প্রাইম টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আজও ষড়যন্ত্রকারীরা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যার নীলনকশা ও ষড়যন্ত্রের অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সব প্রতিকূলতাকে জয় করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বৈশ্বিক মহামারী করোনায় সৃষ্ট সংকট উত্তরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জীবনের পাশাপাশি জীবিকা রক্ষার জন্য মানুষের কল্যাণে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছেন।

সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, ১৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আবেগের দিন। শোক থেকে শক্তি সঞ্চয়ের দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশমাতৃকার কল্যাণে আত্মনিবেদনের শপথে আবদ্ধ হওয়ার দিন।

মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিতে সভায় আরও বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াস সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুর রহমান আনিস প্রমুখ।