শনিবার , ২৪ আগস্ট ২০২৪ | ৩রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও ১০ মামলা

Paris
আগস্ট ২৪, ২০২৪ ৯:১২ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে হত্যা ও হত্যা প্রচষ্টার অভিযোগে আরও ১০টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৪টি, গাজীপুরে ৩টি, সাভারে ১টি ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগঁটয়ে ২টি মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপির মোহাম্মদপুর, আদাবর, যাত্রাবাড়ী ও কদমতলী থানায় মামলাগুলো করা হয়। থানায় এসব মামলা করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্বজনরা।

এর মধ্যে ট্রাক চালক সুজন হত্যায় মোহাম্মদপুর থানায় তার ভাই রফিকুল ইসলাম, পোশাকশ্রমিক রুবেল হত্যায় আদাবর থানায় তার বাবা রফিকুল ইসলাম ও কিশোর নাইম হাওলাদার হত্যায় তার বাবা কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন।

এসব মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম মাসুদ, তার দুই ছেলে আহসানুল আলম মারুফ ও আশরাফুল আলম, জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদসহ ১৯৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৪৫০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মোহাম্মদপুর থানার ওসি মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, আদাবর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম ও যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মো. মাইনুল ইসলাম নিজ নিজ থানায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মোহাম্মদপুর থানায় ট্রাক চালক সুজন হত্যা মামলা : মোহাম্মদপুর থানার মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৭৯ জন ও অজ্ঞাতনামা ৪৫০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ওবায়দুল কাদের, মোহাম্মদ এ আরাফাত, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আসাদুজ্জামান খান, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেননসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন ও ১৪ দলের অনেককে আসামি করা হয়েছে। মামলার অভিযোগপত্রে রফিকুল ইসলাম উল্লেখ করেন, আসামিদের নির্দেশনায়, পরিকল্পনায় এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণে গত ২০ জুলাই বছিলায় শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি করা হয়। এতে তার ভাই ট্রাকচালক সুজন আহত হন। পরে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আদাবর থানায় পোশাকশ্রমিক রুবেল হত্যা মামলা: আদাবর থানায় শেখ হাসিনা-ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ওবায়দুল কাদের, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম মাসুদ এবং তার দুই ছেলে আহসানুল আলম মারুফ (৩০) ও আশরাফুল আলমকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন-শেখ রেহেনা, আমির হোসেন আমু, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, দিলীপ বড়ুয়া, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, শেখ ফজলে নূর তাপস, সাকিব আল হাসান।

যাত্রাবাড়ী থানায় কিশোর নাইম হত্যা মামলা : শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত কিশোর নাইম হাওলাদারের বাবা কামরুল ইসলাম। এ মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ১৯৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা হিসেবে ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিদের মধ্যে- আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আমীর হোসেন আমু, তাজুল ইসলাম, আনিসুল হক, শ ম রেজাউল করিম, নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, ফাহিম গোলন্দাজ বাবলে, মহিউদ্দিন খান আলমগীর রয়েছেন। ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে গুলিতে নাইম হাওলাদার (১৭) কাঁধে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ২০ জুলাই ঢাকা মেডিকেলে তার লাশ শনাক্ত করা হয়।

কদমতলী থানায় মামলা : চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি জানান, হত্যা ও বিস্ফোরণের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে। মামলায় কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনের সাবেক এমপি ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর-রশিদ, চান্দিনা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. মফিজুল ইসলামসহ ৫৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আরও ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপি’র কদমতলী থানায় মামলাটি করা হয়। অভিযোগে বলা হয় ১৯ জুলাই বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রায়েরবাগ বাস স্ট্যান্ডে আন্দোলন চলাকালে ইমন (২৬) নামে এক যুবককে গুলি করা হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে তার মৃত্যু হয়। নিহত ইমনের আত্মীয় সানি বাদি হয়ে মামলাটি করেন।

গাজীপুর : নগরীর গাছা ও বাসন থানায় দুটি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে। এ মামলা দুটিতে ৩৮১ জনের নাম উল্লেখসহ ৪৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলা দুটি দায়ের করেন গাছা থানার পূর্ব কলমেশর এলাকার সাইফুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. রজ্জব আলী ও কুড়িগ্রাম সদরের মোল্লাপাড়া মধ্য কুমরপুর এলাকার মো. আমির আলী (৪৪)। তিনি গাজীপুরের তেলিপাড়ায় গুলিতে নিহত নূর আলমের বাবা। গাছা ও বাসন থানার দুই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অপরদিকে কাশিমপুর থানায় হত্যা চেষ্টা মামলায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে প্রধান আসামি করে ৫৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলাটি করেন কাশিমপুরের লতিফপুর এলাকার আমিনুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. সোহেল রানা।

গাছা থানার মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে তার ছেলে আরিফ বেপারীকে (২৮) গত ২০ জুলাই গুলি করে হত্যা করে আসামিরা। মামলায় ওবায়দুল কাদের, আ ক ম মোজাম্মেল হক, জাহিদ আহসান রাসেল, আজমত উল্লাহ খান, মতিউর রহমানসহ ১১৫ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। ৩৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। কাশিমপুর থানার মামলার বাদি মো. সোহেল রানা এজাহারে উল্লেখ করেন তিনি একটি কোম্পানির স্টেশনারি পণ্যের সেলসম্যান হিসাবে বিভিন্ন দোকানে পণ্য সরবরাহ করেন। গত ৪ আগস্ট বিকাল চারটার দিকে কাশিমপুর থানাধীন চক্রবর্তী বাসস্ট্যান্ডে রাস্তার উপর তিনি গুলিবিদ্ধ হন।

সাভার : ঢাকার সাভারে আব্দুল আহাদ সৈকত (১৭) নামে এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরসহ ১২৬ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সাভার মডেল থানায় মামলাটি করেছেন নিহত শিক্ষার্থী সৈকতের বাবা নজরুল ইসলাম। সৈকতদের বাড়ি বগুড়ার সোনাতলা থানার উত্তর দিগলকান্দি গ্র্রামে। তিনি ঢাকা কমার্স কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়তেন। মামলায় আসাদুজ্জামান খান কামাল, মোহাম্মদ এ আরাফাত, ডা. এনামুর রহমানকেও আসামি করা হয়েছে।

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) : ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককের সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুরে শফিক মিয়া ও আশিক মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নিহত শফিক মিয়ার চাচাতো ভাই আবু হানিফ ও আশিক মিয়ার মা কুলসুম বেগম বাদি হয়ে মামলা দুটি করেন। দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, ড. হাছান মাহমুদ, আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, শামীম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু, গোলাম দস্তগীর গাজী, আব্দুল্লাহ আল কায়সারসহ ৬৯৮ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

 

সূত্র: যুগান্তর

সর্বশেষ - জাতীয়