শেকৃবির আবাসিক হল খুলছে পহেলা অক্টোবর

আগামী পহেলা অক্টোবর থেকে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) আবাসিক হল সমূহ খোলা হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানার নিমিত্তে তুলে দেওয়া হবে গণরুম। হলে থাকার সুযোগ পাবে না অছাত্ররা। বিভিন্ন সেমিস্টারের অনলাইন মাধ্যমে চলমান পরীক্ষা চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। পহেলা অক্টোবর থেকে অনলাইনে কোনো পরীক্ষা নেওয়া হবে না। যারা টিকা পায় নাই তাদের জরুরি ভিত্তিতে ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টিকা নিয়ে অথবা টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করে হলে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সংবাদটি আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় এক সংবাদ সম্মেলনে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং অ্যাকাডেমিক ও আবাসিক হল সমূহের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলরা।

সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে আগামী পহেলা অক্টোবর থেকে আবাসিক হলসমুহ খুলে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলে থাকার সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। তবে যাদের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে তারা হলে থাকতে পারবে না। হলে উঠার সময় টিকা সনদ বা টিকা কার্ডের ফটোকপি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত পরিচয়পত্র দেখাতে হবে।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল রাখার জন্য আমরা অনলাইনে পরীক্ষা চালু রেখেছিলাম। যেহেতু আবাসিক হলসমূহ খুলে দেওয়া হচ্ছে তাই অনলাইন পরীক্ষা শুধু আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। ১ অক্টোবর থেকে কোনো প্রকার অনলাইন পরীক্ষা চলবে না। নতুন রুটিন মাফিক সশরীরে পরীক্ষা দিতে হবে।

পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ এর ডিন অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল বলেন, সেশনজট নিরসনে আমাদের রোডম্যাপ প্রস্তুত আছে। পহেলা অক্টোবর থেকে আর কোনো অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। নতুন রুটিন মাফিক সরাসরি পরীক্ষা নেওয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম জানান, যাদের মাস্টার্সে ভর্তি প্রক্রিয়া চলমান আছে তাদেরকে ছাত্র হিসেবে গণ্য করা হবে। তাদের হলে উঠার ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকবে না।

প্রভস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, হলে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। করোনা উপসর্গ দেখা দিলে প্রতিটি হলে আইসলেশন এর ব্যাবস্থা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসাইন, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. হারুন উর রশীদ, এএসভিএম অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. লামিয়া আসাদ, ফিশারিজ, আকোয়াকালচার অ্যান্ড মেরিন সাইন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবিব, অ্যাগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আবদুল লতিফ, শেরেবাংলা হলের প্রভোস্ট শাহ জহির রায়হান ও বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক শাহনাজ পারভীন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ