শূন্য থেকে সফল উদ্যোক্তা আশা

জেসমিন আরা ফেরদৌস:

উপহার থেকে উদ্যোক্তা। শুনতে অদ্ভুত হলেও ঠিক এমনটাই হয়েছে এই উদ্যোক্তার জীবনে। তিনি ‘কিষাণী’র উদ্যোক্তা আফসানা আশা। রাজশাহীর মহিষবাথান এলাকার বাসিন্দা তিনি। জীবনের অনেক চড়াই-উতরাই পার করে তিনি আজ এক সফল নারী উদ্যোক্তা।

তার এই উদ্যোক্তা হয়ে উঠার ইতিকথা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বাড়ি রাজশাহী হবার সুবাদে,২০১৬ সালে আমার এক পরিচিত রাজশাহীর আম উপহার চাই। আর এভাবে বেশ কয়েকজনকে উপহার দেওয়ার পর তারাই আমাকে পরামর্শ দেয় আমের ব্যবসা শুরু করার।তাদের পরামর্শে আমি আমার এই আমের ব্যবসা শুরু করি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের বাগানে গিয়ে আমি নিজে দেখে আম সংগ্রহ করি। আর এই উদ্যোক্তা হতে আমার কোন পূঁজির প্রয়োজন হয়নি। আমি শুন্য থেকেই আমার এই ব্যবসা শুরু করি। এর পর ২০২০ সালের মার্চ মাসে আমি ‘কিষাণী’ নামে একটি ফেসবুক পেজ খুলি। আর এখন সেখান থেকেই সারাদেশে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ডেলিভারি দেওয়া হয়। এবং রাজশাহীর মধ্যে ফ্রি হোম ডেলিভারি দেওয়া হয়।”

তিনি আরো বলেন,আম দিয়ে আমার ব্যবসা শুরু করলেও এখন আমার কাছে গাওয়া ঘি,খাঁটি মধু,সরিষার তেল,নারকেল তেল, শ্রীমঙ্গলের চা,চুইঝাল,কুমড়া বড়ি,খেজুরের গুড় পাওয়া। এর এই সব কিছুই ঘরে তৈরি এবং প্রাকৃতিক উৎস থেকে সংগৃহীত। এই প্রত্যেকটা পণ্য ই আমি নিজে মাঠে গিয়ে দেখে সংগ্রহ করে আনি অথবা নিজে বাড়িতে তৈরি করি।

প্রতিবেদকের এক প্রশ্নে আশা বলেন, “আমি আমার ব্যবসাতে সফল। করোনাকালীন আমার রেকর্ড পরিমাণ বিক্রি হয়েছে৷ আর আমার সব থেকে বড় প্রাপ্তি আমার ৯৫ শতাংশ ক্রেতা ই আমার রিপিট ক্রেতা।

তার এই উদ্যোক্তা হয়ে উঠার কারন জানতে চাইলে তিনি সিল্কসিটিনিউজ কে জানান, আমি রাজশাহী মহিলা কলেজ থেকে অনার্স ও রাজশাহী কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ করি। এর পর আমি রাজশাহীর কয়েকটি স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করি। তারপর আমার মাথায় ভাবনা আসে আমি এমন কিছু শুরু করি যেন কিছু মানুষের তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে পারি। আর সেই থেকেই আমার এই উদ্যোক্তা হয়ে উঠা৷ এখন আমার এখানে ১৫ জন সহযোদ্ধা আছে।”

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি জানান, পরিকল্পনা আছে অফলাইনে আমার একটা দোকান দেওয়ার। তবে সেটা এখনি না আরো কয়েক বছর পর। আরো কিছুদিন আমি অনলাইনেই আমার ব্যবসাটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবো তারপর অফলাইনে শুরু করবো।

এএইচ/এস