শিবগঞ্জে সরকারি কালভার্ট বন্ধ করায় ফসলসহ ১শ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ

 নিজস্ব প্রতিবেদক,চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের ৪ ওয়ার্ডে দারিগাছা মোড়ে একটি সরকারি কালভার্ট মাটি দিয়ে ভরাট করায়  ১শ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে্ছে ।  ঐ এলাকার ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঐ এলাকার বেশ কিছু ধানসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলি জমি জলবদ্ধতায় আটকা পড়েছে।

স্থানীয়দের সাধারন মানুষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত সোমবার বিকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের উত্তর মকিমপুর, মাইটাল ও দারিগাছী এলাকার প্রায় ১শ পরিবার জলবদ্ধতার কারনে আটকা পড়ায় ঐ এলাকার মানুষরা গবাদীপশু নিয়ে অন্যেও উঁচু জায়গায় অবস্থান করছে। এছাড়া ঐ এলাকার দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।

দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের ৪ ওয়ার্ড সদস্য মোস্তফা জানান, গত দুই মাস থেকে অতি বর্ষণের ফলে গ্রামের আশপাশ এলাকায় পানি প্রবেশের ফলে জলবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে। এছাড়াও দারিগাছি মোড়ে এসলাম নামে এক ব্যক্তি সরকারি কালভার্টের দুই পাশ বন্ধ করে দেয়ায় এবং অবৈধ্যভাবে ধানী জমিতে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করারই পানি নিষ্কাশনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে বলে এলাকাবাসী জানান।এমন দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী ।

কালভার্টের পার্শ্ববর্তী জমির মালিক এমাজুল ইসলাম জানান, আশেপাশের জমির মালিকগণ কালভার্টের মাটিগুলো সরিয়ে নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। ঐ ব্যক্তি সাধারণ মানুষের আবেদনে এসলাম সাড়া দেয়নি। স্থানীয় কৃষকরা জানান, উত্তর মকিমপুর, মাইঠাল মাঠের প্রায় ৬০ বিঘা ধান ও দারিগাছা গ্রামের ভুরকনদা বিলে প্রায় ৭০ বিঘা ধান তলিয়ে গেছে। এছাড়া ওই দুটি বিলে বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। ঐ এলাকার সাধারন মানুষেরা দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে একাধিকবার করার পরও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।

এ বিষয়ে দাইপুখুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম জুয়েলের সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ঐ ওয়ার্ডের সদস্য ও ভুক্তভোগীরা কেউ অভিযোগ করেননি। তবে মাঠে ধানী জমিতে পুকুর খনন করতে নিষেধ করার শর্তেও কতিপয় প্রভাবশালীরা ব্যক্তিস্বার্থে পুকুর খনন করে জলবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে বলে ইতিপূর্বেই স্থানীয় কৃষি দফতর, মৎস দফতর, প্রশাসন ও সাংবাদিকদের অবহিত করেছিলে বলে চেয়ারম্যান জানান।

অবৈধভাবে ধানী জমিতে খননকৃত পুকুরের লীজ গ্রহীতা বাবুল আলী জানায়, গত চার বছর ধরে ৫টি পুকুর লীজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছি। কিন্ত হঠাৎ বর্ষনের ফলে পুকুরের মাছগুলো ভেসে যাচ্ছে। প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ভেসে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলে তিনি দাবী করেন।

এব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কিছু জানাননি। অপরদিকে, শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, তিনি ইতি মধ্যেই জেলা কৃষি দফতরে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন।

স/আ.মি