শিনজিয়াংয়ের কয়েক হাজার মসজিদ ধ্বংস করেছে চীন

গত তিন বছরে শিনজিয়াংয়ের কয়েক হাজার মসজিদ ধ্বংস বা এগুলোর ক্ষতি করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। উইঘুর মুসলিমদের এই প্রদেশটিতে এখন হাতেগোনা কয়েকটি মসজিদ রয়েছে। মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর চীনের নিপীড়নের বিষয়ে একটি প্রতিবেদনে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটিজিক পলিসি ইনিস্টিটিউট (এএসপিআই) এ তথ্য জানিয়েছে।

স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবি এবং মানচিত্রের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে এএসপিআই। চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকাটিতে এখনও আটককেন্দ্র নির্মাণ এবং সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে চলছে কর্তৃপক্ষ।

গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, চীন সরকার দাবি করছে শিনজিয়াংয়ে এখনও ২৪ হাজারের বেশি মসজিদ রয়েছে। তারা ধর্মীয় বিশ্বাস রক্ষা এবং একে শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে অনুসন্ধানে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তার সঙ্গে চীন সরকারের দাবির কোনো মিল নেই। বাস্তবে ১৫ হাজারের কিছু বেশি মসজিদ অবশিষ্ট আছে। এগুলোর অর্ধেকই কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।

সংস্থাটি বলেছে, ‘সাংস্কৃতিক বিপ্লবের পর এটাই সবচেয়ে কম সংখ্যা, ওই সময় তিন হাজারের কম মসজিদ বিদ্যমান ছিল।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছে এবং আরও ৩০ শতাংশ মসজিদের ক্ষতি করা হয়েছে কোনো না কোনোভাবে। এর মধ্যে স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যমন্ডিত মিনার বা গম্বুজ ভেঙে ফেলাও অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। ধ্বংস করে ফেলা মসজিদগুলোর জায়গা এখনও খালি পড়ে আছে কিংবা সড়ক, গাড়ি পার্কিংয়ের স্থান বা কৃষিকাজে ব্যবহারের স্থানে পরিণত করা হয়েছে। কিছু কিছু মসজিদ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে সাবেক মসজিদের ভগ্নাংশ পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫৪০ সালে নির্মিত  কাশগড়ের গ্রান্ড মসজিদও রয়েছে। রাজধানী উরুমকিসহ যেসব স্থানে বিপুল সংখ্যক পর্যটক যায়, সেসব স্থানে থাকা মসজিদগুলোর ক্ষতি খুব কমই করা হয়েছে।