শাহরিয়ারের ফের করোনা পজিটিভ, ফুসফুসে সংক্রমণ

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার ফের কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন। আক্রান্তের ১৩ দিন পর আবারও তার পরীক্ষা করানো হয়।

পুনরায় কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন— বিষয়টি তিনি নিজেই জানান ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে। সম্প্রতি ভোক্তার স্বার্থে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে আলোচনায় আসা এই ম্যাজিস্ট্রেট পরবর্তীতে কে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মঙ্গলবার (২৬ মে) বিকেলে তিনি বলেন, দ্বিতীয় দফা রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) কোভিড-১৯ টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আমাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।

তিনি আরও বলেন, সিএমএইচে গত ২৪ তারিখ (২৪ মে) কোভিড-১৯ টেস্ট করি। আজ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এছাড়া সিটি স্ক্যান ও এক্স-রে করিয়েছি। ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। সিএমএইচের ডাক্তার বিগ্রেডিয়ার হাবিব সাহেবের পরামর্শে চিকিৎসা নিচ্ছি। তিনি আমাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেছেন।

করোনা পজিটিভ পরিবারের অন্য সদস্যরা অর্থাৎ তার স্ত্রী ও দুই সন্তান ভালো আছেন বলেও জানান মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।

এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে শাহরিয়ার লেখেন, ‘আক্রান্ত হওয়ার ১৩ দিনের মাথায় কোভিড ১৯ টেস্ট আবারও পজিটিভ। ফুসফুসে গভীর সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আশংকা সত্যি হয়ে গেল। ঘরের অন্য সদস্যদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

রাতের অন্ধকারের পর আসে ভোরের সূর্য। আলোকিত হয়ে ওঠে সবকিছু। ইনশাআল্লাহ বিশ্বাস করি, আবার সব আগের মতোই হবে।’

‘মনোবল শক্ত আছে; কিন্তু কি যেন… পরিবারের সব সদস্যকে অমানবিক এক যন্ত্রণায় ফেলে দিলাম। রাব্বুল আলামিন সবাইকে হেফাজত করুন; ধৈর্য ধরার তৌফিক দিন। সারাদেশে সবাই আমাদের জন্য যে প্রার্থনা করেছেন তা আশীর্বাদ হয়ে থাকবে।’

গত ১৩ মে করোনার টেস্টে অধিদফতরের আলোচিত এ কর্মকর্তার কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে। এরপর তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

গত ২০ মে তার স্ত্রী তানজিনা সুলতানা এবং মেয়ে তাইফা নূহা আশী (১২) ও ছেলে তানজিন শাহরিয়ার আরিফের (১০) করোনা টেস্টের পজিটিভ ফল আসে। তারাও এখন বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।

এদিকে ভোক্তা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) বাবলু কুমার সাহাসহ মোট নয় কর্মকর্তা ও দুজন গাড়িচালক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।