স্পোর্টস ডেস্ক:
গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচের তিনটিতে জিতে বিশ্বকাপের সুপার এইট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। তবে লিগপর্বের ম্যাচগুলোতে খুব একটা স্বস্তিতে ছিল না টাইগাররা। দলের ব্যাটাররা ব্যাট হাতে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হচ্ছেন। সাবলীলভাবে কেবল ব্যাট করতে দেখা গেছে তাওহীদ হৃদয় এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও ছিলেন না ব্যাট হাতে নিজের চেনা ফর্মে।
সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় দলের টপ অর্ডার। লিটন দাস থেকে নাজমুল হাসান শান্ত কেউই পাচ্ছেন না রানের দেখা। চলমান বিশ্বকাপে ৪ ম্যাচ খেলে ৮৬.১৫ স্ট্রাইকরেটে ৫৬ রান করেছেন লিটন। লিটনের থেকে আরো ভয়াবহ অবস্থা শান্তর। টাইগার এই অধিনায়ক ৪ ম্যাচ খেলে ৫৯.০৯ স্ট্রাইকরেটে করেছেন মোটে ২৬ রান।
অধিনায়ক হয়েও দলের জন্য শান্তর কনট্রিবিউট করতে না পারা অস্বস্তি আরও বাড়িয়েছে টাইগার শিবিরে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচ তো শেষ। এখন সুপার এইটে শক্ত প্রতিপক্ষদের বিপক্ষে কী রানে ফিরবেন শান্ত-লিটনরা। কঠিন চ্যালেঞ্জের আগে এটাই এখন বড় প্রশ্ন। অবশ্য নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে শান্ত জানিয়েছিলেন নিজের ফর্ম নিয়ে চিন্তার কথা।
এ সময় টাইগার এই অধিনায়ক বলছিলেন, ‘অবশ্যই চিন্তার কারণ। এভাবে ব্যাটিং করলে আমার মনে হয় না যে দলের জন্য খুব একটা ভালো দিক হবে। কারণ শুরুটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা শুরুটা পাচ্ছি না। শেষের ব্যাটাররাও তেমনভাবে শেষ করতে পারছে না। ফলে অবশ্যই চিন্তার কারণ। এখান থেকে আমাদেরকেই বের হয়ে আসতে হবে। কীভাবে বের হয়ে আসতে হবে এটা নিয়ে অনেক প্ল্যান সবসময়ই হয়। স্টিল এই ভুলগুলা বারবারই হচ্ছে। তারপরেও আমি বলব পরের রাউন্ডে এই ভুলগুলা যত কম করা যায়।’
সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষে রান করতে পারা বড় চ্যালেঞ্জওশান্ত-লিটনের জন্য। সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় তাদের ফিরে আসাটাও দলের জন্য বড় প্রয়োজন।