শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের জন্মবার্ষিকীতে নগর আ’লীগের আলোচনা সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান হেনার ৯৯তম জন্মবার্ষিকীতে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৬ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টায় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান মিলানায়তনে “তোমার কীর্তি তোমাকে করেছে মহান” শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জননেতা এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। মূখ্য আলোচক ছিলেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ, বাংলা একাডেমির প্রাক্তন মহাপরিচালক ও বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, আলোচক ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য ও কবিকুঞ্জ, রাজশাহীর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামানিক, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেনী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা।

বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরিফুজ্জামান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এ্যাড. মোজাফফর হোসেন, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কবি আরিফুল হক কুমার। সঞ্চালনা করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী।

আলোচনা সভায় মূখ্য আলোচক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান হেনা এঁর ৯৯তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় আমন্ত্রন পাওয়ায় সকলকে আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। রাজশাহীর কীর্তিমান সন্তান শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান হেনা। তাঁর জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও জনগণের প্রতি ভালোবাসার যে গভীরতা তা অতুলনীয়। তিনি সহজ সরল ও হাস্যোজ্জ্বল একজন মানুষ হিসেবে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর রাখতেন। তাঁর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তাঁকে মহান করে রেখেছে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, থাকবে এই জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা, ততদিনই বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় চার নেতাকে বাঙালি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

তিনি আরো বলেন, শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান হেনা নানান ষড়যন্ত্রের মধ্যে দিয়েও মুক্তিযুদ্ধ কালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র, কৃষি এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করে মুক্তিযুদ্ধের গতি তরান্বিত করতে প্রজ্ঞার পরিচয় দেন। স্বাধীনতা উত্তর সময়ে ভঙ্গুর বাংলাদেশের পুনর্গঠনে যে অবদান রেখেছিলেন জাতি তা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর সপরিবারকে হত্যা করার পর দেশে যখন এক অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হয়, তখন তিনি বেইমান মুস্তাকের মন্ত্রীত্বের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে বলেন, “আমি বঙ্গবন্ধুর রক্তের সঙ্গে বেইমানি করতে পারবো না। বঙ্গবন্ধু হীন বাংলায় আমার বেঁচে থাকার কোন ইচ্ছা নেই।” ফলে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারা অভ্যন্তরে ঘাতকের নির্মম বুলেটে জীবন দিয়ে প্রমান করে গেছেন, তিনি বেইমান ছিলেন না।

জি/আর