সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
শরীরে রক্ত কমে গেলে মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট ও দ্রুত হৃদস্পন্দনের মতো সমস্যা দেখা দেয়। রক্তশূন্যতার কারণে ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে পড়ে, হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায় ইত্যাদি। রক্ত বাড়াতে অনেকে আয়রন ট্যাবলেট খান, চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। তবে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো পুষ্টিকর ও আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। পুষ্টিবিদরা বলেন, নিয়মিত পালং শাক খেলে শরীরে দ্রুত গতিতে রক্ত বাড়বে। এছাড়া যাদের চোখের নানাবিধ সমস্যা আছে, তাদের সেসব সমস্যাও দূর হবে।
কেন রক্ত তৈরি হয়?
নিয়মিত পালং শাক খেলে খুব দ্রুত রক্ত তৈরি হয়। কারণ, এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন। আর এই খনিজ হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে। যার ফলে অ্যানিমিয়ার মতো জটিল অসুখ প্রতিরোধ করা যায়। শুধু তাই নয়, যারা ইতিমধ্যেই এই অসুখে ভুগছেন, তারাও ভরসা রাখতে পারেন পালং শাকে।
পালং শাকের অন্যান্য উপকারিতা
১. পালং শাকে রয়েছে লিউটিন ও জিয়াজ্যানথিন নামক দুটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ দুই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। এ শাকে থাকা বিটা ক্যারোটিন চোখের জ্যোতি বাড়াতে সাহায্য করে। এমনকি সূর্যরশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও চোখকে বাঁচায়। নিয়মিত আধা কাপ পালং শাক খেলে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন বা বয়সজনিত চোখের সমস্যাও দূর হয়।
২. যারা নিয়মিত গ্যাস, অ্যাসিডিটিতে ভোগেন, তারা পালং শাক খাওয়া শুরু করুন। কেননা এতে রয়েছে ফাইবার। আর এ উপাদান অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। যার ফলে খাবার হজম হতে সময় লাগে না। এর পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে ভূমিকা পালন করে পালং। তাই আপনার ডায়েটে এ শাক রাখুন।
৩. পালং শাক হাই ব্লাড প্রশার কমাতেও সাহায্য করে। এ শাকে থাকা পটাশিয়াম শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য ফেরায়। যার ফলে প্রেশার কমে। হার্ট সুস্থ থাকে।
৪. এছাড়াও এতে থাকা একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ডায়াবেটিস, অ্যালঝাইমার্স থেকে শুরু করে একাধিক জটিল রোগ থেকে রক্ষা করে। তাই নিয়মিত এ শাক খাওয়ার চেষ্টা করুন।
ভালো করে সিদ্ধ করে খান
এ শাক অত্যন্ত উপকারী। তবে তা ঠিক ভাবে রান্না করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথমে শাক কিনে তা বেছে ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর সিদ্ধ করে রান্না করুন।