শত্রুতার আগুনে ৬টি গরু পুড়ে ছাই!

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে শত্রুতার জেরে গোয়াল ঘরে আগুন লাগিয়ে ৬টি গরু পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ প্রতিবেশির বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (৭ জুলাই) মাঝ রাতে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের পশ্চিম ঝিনিয়া গ্রামের মেহের আলীর বাড়িতে এ আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আব্দুল খালেক (৫৫) নামে এক প্রতিবেশিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে মেহের আলীর বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ রাত সাড়ে ১২টার দিকে গরুর ডাক শুনে তাদের ঘুম ভাঙে। বাড়ির লোকজন বেরিয়ে গোয়াল ঘরে আগুন দেখতে পান। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করে। এলাকাবাসীর দীর্ঘ চেষ্টায় আগুণ নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় মেহের আলীর ও তার ছেলে ধলু মিয়ার ৬টি গরু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ছাড়া গোয়াল ঘরে থাকা আরো ৩টি গরু আগুনে পুড়ে গুরুতর জখম হয়েছে।

এ ঘটনায় প্রতিবেশি আব্দুল খালেক ও তার ছেলে সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আগুন লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এতে আগুন লাগানোর একটি কেরোসিন তেলের বোতল উদ্ধার করা হয়। পরে জড়িত সন্দেহে অভিযুক্ত ওই প্রতিবেশিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তি একই গ্রামের মৃত গেন্দা মিয়ার ছেলে।

ভুক্তভোগী মেহের আলী বলেন, আমি গরুগুলো কোরবানির জন্য লালন পালন করেছি। কিন্তু ওরা আমার সব স্বপ্ন প্রতিহিংসার আগুনে পুড়ে ছাই করেছেন। সর্বনাশ যে করেছে আমি তার শাস্তি চাই।

ভুক্তভোগীর ছেলে ধলু মিয়া জানান, গরুগুলোই ছিল আমার একমাত্র সম্বল। গরু ৬টির মধ্যে ২টি গরুর পেটেই বাচ্চা ছিল। এতে আমার প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, এ ঘটনার পরপরই আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ