লোভনীয় চরিত্র পাচ্ছি না:ঊষসী রায়

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

অভিনেত্রী ঊষসী রায়। কলকাতার বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ‘মিলন তিথি’, ‘বকুল কথা’, ‘কাদম্বিনী’- তিনটি ভিন্ন ধারার ধারাবাহিকে তাঁর কাজ দেখেছেন দর্শক। কিন্তু দীর্ঘদিন তিনি টেলিভিশনে নেই। অথচ তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া ফলো করলে নিয়মিত আপডেট দেখা যাচ্ছে। তা হলে এখন অভিনেত্রী পেশার জগতে ঠিক কী করছেন?

প্রশ্ন করতেই হেসে ঊষসী বললেন,শুধু শুট করছি আর ছবি আপলোড করছি। কিছু করে তো নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে। এটাও ভাল লাগছে। এনজয় করছি। যে কাজ করেছি, সেগুলো নিয়ে কথা বলা বারণ। একটা ওয়েব সিরিজ করেছি একটা শেষ করেছি। আর একটা শুরু হবে। কিন্তু সেগুলো কী, চরিত্র কেমন, কিছুই এখন বলতে পারব না।

টেলিভিশন ঊষসীকে জনপ্রিয়তা দিয়েছে। সেই টেলিভিশনে কবে ফিরছেন? ঊষসীর কথায়, “টেলিভিশনে সঞ্চালিকার ভূমিকায় দেখা যাবে খুব সম্ভবত। পার্মানেন্ট কিছু করছি না।”

সূত্রের খবর, দুর্গাপুজার সময় বিশেষ একটি অনুষ্ঠানের, বিশেষ পর্বে অভিনেত্রীকে সঞ্চালিকার ভূমিকায় দেখা যেতে পারে।

কিন্তু ঊষসীকে ফের ধারাবাহিকে দেখতে চান দর্শক। সেখানে তিনি কবে ফিরবেন? অভিনেত্রী বললেন, মিলন তিথি, বকুল কথা, কাদম্বিনী, তিনটে তিন রকমের কাজ। বকুলের মতো চরিত্র টেলিভিশনে আগে হয়েছে কি না, জানি না। কাদম্বিনীর চরিত্রে অভিনয় তো আমার কাছে আশীর্বাদের মতো। আমি সব সময়ই এর থেকে ভাল কিছু করতে চাইব। যা এই তিন চরিত্রের থেকে আলাদা। এখনও সে রকম লোভনীয় চরিত্র পাচ্ছি না বলে ফিরছি না।

টেলিভিশনের চেনা রুটিনের অনভ্যাস কী কী শিক্ষা দিল? ঊষসী স্বীকার করে নিলেন, কাদম্বিনীর পরে এখনও পর্যন্ত কোনও ধারাবাহিকের সঙ্গে যুক্ত না হওয়ার সময় পর্যন্ত তিনি অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন। তাঁর কথায়, “গত এক বছরে আমার প্রচুর পরিবর্তন হচ্ছে। মানসিক দিক বা অন্য দিক থেকে। এটাও একটা জার্নি। প্রত্যেকটা দিন আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমি শিখছি। এতদিন টেলিভিশন করতাম। রুটিন লাইফ ছিল। জানতাম এই সময়ে কল টাইম, এই সময়ে প্যাক আপ। কোনও রিস্ক ছিল না। টেনশন ছিল না। এখন বিষয়টা হলো, প্রত্যেক দিন জানিই না, পরের দিন কী করব। কী চরিত্র আসতে চলেছে। এই ট্রানজিশন ফিল করতে পারছি। অনেকটা অন্যরকম।”

বাবা, মা তাঁর সবথেকে বড় বন্ধু। এ কথা আগেও জানিয়েছিলেন ঊষসী। লকডাউনের কঠিন সময় বাবা, মায়ের সাহচর্যে ভাল ভাবে কাটাতে পেরেছিলেন। অভিনেত্রী শেয়ার করেছিলেন, “আমরা তিন বন্ধু। আমরা এমন ভাবে গল্প করি, একে অপরের লেগপুল করি, যে সম্পর্কটা বন্ধুত্বের। দু’জনের সঙ্গেই মনের কথা প্রাণের কথা বলি। আবার লেগপুল না করলেও চলবে না।”

স/জে