লেকহেড গ্রামার স্কুল মালিকের হাইকোর্টে জামিন আবেদন

রাজধানীর লেকহেড গ্রামার স্কুলের মালিক খালেদ হাসান মতিন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছেন। আদালত সোমবার জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন। একইসঙ্গে আদেশের আগ পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার না করতে মৌখিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেন। জামিন আবেদনকারী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

লেকহেড গ্রামার স্কুলের মালিক খালেদ হাসান মতিনের বিরুদ্ধে তিন কোটি ৩ লাখ টাকা অর্থ পাচারের অভিযোগে গত ২ নভেম্বর গুলশান থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় খালেদ হাসান মতিন হাইকোর্টে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।

তার বিরুদ্ধে জঙ্গি অর্থয়ানের অভিযোগে গুলশান থানায় ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি মামলা করে পুলিশ। মামলাটি ডিবি তদন্ত করছে।

জঙ্গি কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতা, ধর্মীয় উগ্রবাদে অনুপ্রেরণা দেওয়াসহ কয়েকটি অভিযোগে ২০১৭ সালের ৭ নভেম্বর স্কুলটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। এ অবস্থায় স্কুলটি বন্ধের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে স্কুলটির মালিক খালেদ হাসান মতিন ও ১২ শিক্ষার্থীর অভিভাবকের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক রিট আবেদন করা হয়। এ রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই বছরের ১৪ নভেম্বর এক রায়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে খুলে দিতে নির্দেশ দেন। পরদিনই রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করা হয়। সময়ে সময়ে এ স্থগিতাদেশ বাড়ানো হয়। পরবর্তীতে ওইবছরের ৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ স্কুলটি পরিচালনার জন্য সাতদিনের মধ্যে ব্যবস্থাপনা কমিটি করতে শিক্ষা সচিবকে নির্দেশ দেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ কমিটিতে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারকে সভাপতি করতে বলা হয়। এ কমিটিতে সেনাবাহিনীর একজন প্রতিনিধি রাখতে বলা হয়। একইসঙ্গে ওই স্কুলের অধ্যক্ষ হিসেবে সেনাবাহিনীর শিক্ষা কোরের একজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিতে বলা হয়। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই কেবল স্কুলটি খুলে দিতে বলা হয়। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ কমিটির অধীনেই স্কুলটি পরিচালিত হবে বলে আদেশে বলা হয়।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ