লুটপাটের জমিদারি রক্ষায় সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়: সাকি

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :
লুটপাটের জমিদারি রক্ষার জন্য সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, মানুষের জীবনে আপনারা (সরকার) যে নাভিশ্বাস তুলেছেন, যেভাবে লুটপাট করে দেশকে ফোকলা বানিয়ে দিয়েছেন, এটি মানুষ পরিষ্কারভাবে বুঝে গেছে।

লুটপাটের জমিদারি রক্ষার জন্য আপনারা ক্ষমতা আকড়ে রাখতে চান। কাজেই এবার আর দমন-পীড়ন ও বিদেশিদের খুশি করে আপনারা রেহাই পাবেন না। জনগণ আপনাদের রেহায় দেবে না। মানুষ রাজপথ দখল নিয়ে আপনাদের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাবে। সেই লড়াইয়ের প্রস্তুতি চলছে।

শনিবার (৪ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণ পদযাত্রা কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিরোধী মতের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন ও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে এ সমাবেশর আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।

সামবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকট মোকাবিলায় একটাই উপায় সরকারের কাছে আছে। সবকিছুর দাম বাড়াও, মানুষের পকেট থেকে আরো টাকা হাতিয়ে নাও, জনগণের ঘাড়ের ওপর সব সংকটের বোঝা চাপিয়ে দাও।

তিনি বলেন, আজকে যখন দ্রব্যমূল্যের ঊধ্বগতিতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে, তখন এই নির্লজ্জ সরকার কীভাবে মানুষকে শান্তি দেওয়া যায় তার কোনো ব্যবস্থা বা পদক্ষেপ না নিয়ে বরং দ্রব্যমূল্য যারা বাড়াচ্ছে, তাদের সিন্ডিকেট কীভাবে আরো শক্ত করে জনগণের পকেট হাতিয়ে নেওয়া যায়, হাজার হাজার টাকা লুট করে কীভাবে ভাগ বসানো যায়, তাতে ব্যস্ত।

জনগণের দুঃখ দুর্দশা নিয়ে সরকারের কোনো চিন্তা নেই মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, দ্রব্যমূল্য যতই বাড়ুক, তাদের (সরকার) হাতে দুটি অস্ত্র রয়েছে। সেই দুটি অস্ত্র দিয়ে তারা তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখবে। সেই অন্ত্রের একটি হচ্ছে মানুষকে ভয় দেখানো।

সরকার দমন-পীড়ন করে মানুষের মুখ বন্ধ করতে চাইছে জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, তারা (সরকার) মনে করছে, এই পদ্ধতি আগে যেহেতু কাজ করেছে, এটিই প্রয়োগ করে এবারও তারা তাদের শাসন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে পারবে।

তিনি বলেন, ক্ষমতা টিকেয়ে রাখার জন্য আরেকটি পদ্ধতি তাদের (সরকার) কাছে আছে। বিদেশি প্রভুদের খুশি করা। পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের বিভিন্ন লোকেরা যারা এই ধরনের খুশি করার কাজে ব্যস্ত থাকেন। তারা বিভিন্ন দেশের ক্ষমতাবানদের খুশি করার জন্য দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে হলেও গদি রক্ষা করছেন।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানসহ গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাকর্মীরা।

সমাবেশ শেষে তারা সেগুনবাগিচা হয়ে কাকরাইল পর্যন্ত গণপদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন।