লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:
নাটোরের লালপুরে দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্যের হাত-পা গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বর্তমান সদস্য। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর-গোখুরাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদের মেয়ে সালমা খাতুন বাদী হয়ে লালপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
লালপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের শামসের মালিথার ছেলে ইউপি সদস্য হাফিজুর মালিথা, সামাদ মালিথা, শহিদুল মালিথা ও জিয়া মালিথার সাথে একই গ্রামের প্রতিবেশী আনিছুর রহমান ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। সম্প্রতি প্রতিপক্ষের লোকজন আনিছুর রহমানকে মারপিট করায় তিনি থানায় মামলা করেন।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আব্দুস সামাদ ও তার মেয়ে ছালমা খাতুন ভ্যানে করে আট্টিকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁরা গোখুরাবাদ জনৈক মামুনের মুদির দোকানের সামনে পৌঁছলে হাফিজুর মালিথাসহ তার লোকজন আব্দুস সামাদকে শার্টের কলার ধরে নামিয়ে লোহার শাবল, বাঁশের লাঠি ও কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন। এতে তাঁর বাম পা ও হাতে হাড় ভেঙ্গে যায়। তার মেয়ে ছালমা খাতুনকে টেনে হিঁচড়ে ভ্যান থেকে নামিয়ে কিল-ঘুষি মারে। তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. ওয়ালিউজ্জামান বলেন, আব্দুস সামাদের ডান হাত ও বাম পায়ে হাড় লোহার আঘাতে গুড়ো হয়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স/আর