লালপুরে প্রতিবন্ধী রনির পাশে প্রাকীর্তি ফাউন্ডেশন

লালপুর প্রতিনিধি:
লালপুরে প্রাকীর্তি ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিনিধি দল গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর লালপুর উপজেলার চকবাদকয়া গ্রামের প্রতিবন্ধী রনির বাড়ী পরিদর্শন করেছেন। রনির সচ্ছল জীবনযাপনে যতটা সম্ভব সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রতিনিধি দল।


প্রতিবন্ধী রনির বয়স এখন ২০ বছর। প্রতিবন্ধী হওয়ার কারনে জন্মের পর থেকেই লেখাপড়া জুটেনি রনির ভাগ্যে। সমাজের অন্য দশজন ছেলের মত তারও ইচ্ছা ছিল দল বেধে স্কুলে যাবে লেখাপড়া শিখবে খেলাধুলা করবে, মা-বাবার আদর-সোহাগে বড় হবে। কিন্তুু প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে ধীরে ধীরে বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাকে বর্তমানে নিজের পেটের খাবার যোগান দিতে হচ্ছে মানুষের দ্বারে দ্বারে সাহায্য (ভিক্ষা) নিয়ে। যদিও সে এটা করছে ইচ্ছের বিরুদ্ধে। সে সাবলম্বী হতে চাই।

পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, নাটোরের লালপুর উপজেলার চকবাদকয়া গ্রামের রমজান আলী ও সিমা খাতুনের ঘরে অতি আদরের প্রথম পুত্র সন্তান রনি মিয়া (২০) জন্ম গ্রহন করে। তার জন্মতে পরিবারে সুখের ছোয়া লাগে, কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে দিন যতই অতিবাহিত হয় রনি ততই অসুস্থ হতে থাকে। স্থানীয় সকল সরকারি হাসপাতালসহ রাজশাহী ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পরেও রনির ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। রনির মাথা ধীরে ধীরে বড় হওয়ার সাথে সাথে পা দুটিও অসার হয়ে গেছে, এমন কি প্রসাব পায়খানাও হামাগুড়ি দিয়ে করতে হয় তাকে। রনিসহ তারা ৪ ভাই। নানীর দেয়া জমিতে তাদের বসবাস।

আর তাদের এই দুরাবস্থা নিয়ে গণমাধ্যমে সচিত্র সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে প্রাকীর্তি ফাউন্ডেশন নামের একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের।

মঙ্গলবার (৭জুলাই-২০২০) প্রাকীর্তি ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিনিধি দল রনির শারিরীক ও পারিবারিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে তার বাড়ীতে হাজির হন। রনি ও তার পরিবার যেন সচ্ছল ভাবে জীবন যাপন করতে পারে সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।

এসময় প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রাকীর্তি ফাউন্ডেশনের পরিচালক (অর্থ) আমিনুল ইসলাম টমি, পরিচালক (দপ্তর) গোলাম সারোয়ার মিলন, লালপুর থানা কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও লালপুর বার্তার উপদেষ্টা সম্পাদক এ কে আজাদ সেন্টু , সাংবাদিক আব্দুর রশিদ মাষ্টারসহ উক্ত গ্রামের সমাজ সেবক হামিদুল ইসলাম সান্টু প্রমূখ।

এসময় আমিনুল ইসলাম টমি জানান, গণমাধ্যমে প্রতিবন্ধী রনির অসহায় অবস্থার সংবাদ দেখে বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। আমরা সরজমিনে বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করেছি। কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ছেলেটির সচ্ছল জীবনযাপনে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করবো ইনশাআল্লাহ্।

রনির মা সিমা খাতুন আবেগ আপ্লুত কন্ঠে জানান, প্রাকীর্তি ফাউন্ডেশন থেকে কয়েকজন এসে আমাদের অসহায় অবস্থা দেখে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।