লালপুরে পদ্মায় নিখোঁজের দুইদিন পরে স্কুল ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:
নাটোরের লালপুরের পদ্মা নদীতে স্রোতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ সুরাই আক্তার পাপড়ির (১২) মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর ) সন্ধ্যায় গৌরীপুরের আকছেদ মোড় তালতলা নামক স্থানে মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে।শুক্রবার সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল উদ্ধার অভিযান চালিয়ে মরদেহ না পাওয়ায় কার্যক্রম শেষ করেন।
নিহতের চাচা আব্দুল আজিজ রঞ্জু বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় গৌরীপুর পদ্মা নদীর তীরে আকছেদ মোড় তালতলা নামক স্থানে মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে।
উপজেলার লক্ষ্মীপুর ঘাটে বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর ) বেলা ১টার দিকে ওই গ্রামের জুলহাস উদ্দিন পাখির মেয়ে সুরাই আক্তার পাপড়ি পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে স্রোতে ভেসে নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজ পাপড়ির খালা কোহিনুর বেগম বলেন, তাঁর মেয়ে রানী ও ভাগনি পাপড়ি বেলা ১টার দিকে স্কুল থেকে ফিরে দুই বোন নদীতে গোসল করতে যায়। প্রবল স্রোতে ভেসে যাওয়ার সময় তাদের চিৎকারে মেয়ে রানীকে উদ্ধার করতে পারলেও পাপড়ি স্রোতে ভেসে যায়।
পাপড়ির বাবা জুলহাস উদ্দিন পাখি বলেন, পাপড়ি নুরানী কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। স্থানীয় জেলেরা নদীতে জাল ফেলে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। পরে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বৃহস্পতিবার  রাত ৮টা পর্যন্ত উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। শুক্রবার সকালে ডুবুরী দল আবারো উদ্ধার কাজ শুরু করেন কিন্তু পাপড়ি কে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয় ।
এব্যাপারে নুরানি কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান বলেন, পাপড়ি আমাদের স্কুলের একজন মেধাবী ও শান্ত প্রকৃতির মেয়ে ছিল। তার অকাল মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত।
লালপুর ফারয়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সাথে লালপুর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যান।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দলের মো. নুরুন্নবী বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এবং শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে মরদেহ না পাওয়ায় অভিযান সমাপ্ত করে চলে যান।
স/রি