লালপুরে পদ্মায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত: ৫ মরদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর:
নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৬ জনের মধ্যে একজন জীবিত ও বাকি ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানের দ্বিতীয় দিনে ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। তবে নিখোঁজ ৬জনের মধ্যে মহরকয়া গ্রামের নচিমুদ্দিনের ছেলে জামরুল ইসলাম জীবিত অবস্থায় ফিরে এসেছে। নিখোঁজ সকলের মরদহ উদ্ধার হওয়ায় বেলা তিনটার দিকে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষনা করে ফায়ার সার্ভিস।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু করে তারা। উদ্ধার অভিযানের সময় ঘটনাস্থল বিলমারিয়া থেকে ৮কিলোমিটার দুরে লক্ষীপুর বালুর ঘাট এলাকা থেকে নিখোঁজ জামাল হোসেন, আরজেদ আলী, চান্দের আলী এবং ভাষান আলীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এরআগে মঙ্গলবার বিকেলে বেলাল হোসেনের লাশ উদ্ধার করে ডুবুরি দল।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে  লালপুর উপজেলার পদ্মা নদীর বিলমাড়িয়া ঘাট থেকে প্রায় অর্ধশত কৃষি শ্রমিক নিয়ে একটি নৌকা পলাশির চরে যাচ্ছিল। এসময় অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে মাঝ নদীতে নৌকাটি ডুবে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও জেলেরা নৌকা নিয়ে গিয়ে অনেককে উদ্ধার করে। কেউ কেউ সাঁতরে তীরে উঠলেও নিখোঁজ হয় ৬জন। পরে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে দিনভার উদ্ধার অভিয়ান চালিয়ে কম্প প্রামানিকের ছেলে বেলাল হোসেনের লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পদ্মা নদীতে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযানে নামে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। অভিযানে বেলা ১১টার দিকে লক্ষীপুর বালুরঘাট এলাকা থেকে চকবাদকৈইয়া গ্রামের লালচাদ আলীর ছেলে জামাল হোসেন, বেলা ১২টায় মহরকয়া গ্রামের মসলেম উদ্দিনের ছেলে আরজেদ আলী, দুপুর আড়াইটার দিকে  মৃত রহমান আলীর ছেলে চান্দের আলী এবং বেলা ৩টার দিকে মহরকয়া গ্রামের তালুকদারের ছেলে ভাষান আলী।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের স্টেশন অফিসার ওমর ফারুক সিল্কসিটি নিউজকে জানান, দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযানে মোট ৪জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এনিয়ে নিখোঁজ ৬জনের মধ্যে ৫জনের মরদেহ উদ্ধার করা হল। তবে একজন জীবিত অবস্থায় ফিরে আসায় নিখোঁজ আর না থাকায় উদ্ধার অভিযান বেলা ৩টার দিকে সমাপ্ত ঘোষনা করা হয়েছে।
লালপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম উদ্ধার অভিযান সমাপ্তের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ৫জন নিখোঁজের সবার মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাৎক্ষনিক ভাবে নিহতের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অনুদান পেলে নিহতের পরিবারকে সহায়তা করা হবে।

স/অ