লালপুর প্রতিনিধি:
নাটোরের লালপুরে স্কুল ছাত্রী পলির রহস্যজনক মৃত্যুর দুই মাস পর লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ। সোমবার তার লাশ নাটোর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে ।
লালপুর থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লালপুর উপজেলার মহারাজপুর গ্রামে ২৬ মে ২০১৬ রাতে আব্দুর রহমানের কন্যা ২য় শ্রেণীর ছাত্রী পলি খাতুনের (১০) নিজ বাড়ীতে রহস্যজনক মৃত্যু হয়। মুত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি করে পলির দাফন সম্পন্ন করে।
ঘটনা জানাজানি হলে, লালপুর থানা পুলিশ জিডিমূলে সন্দেহভাজন পলির দুই ভাই মিলন (২৬) ও আলমগীর (২৪)কে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কোন তথ্য উদ্ধার করতে না পেরে এবং থানায় কেউ মামলা না করায় ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে তাদেরকে ২৮ মে ২০১৬ শনিবার আদালতে প্রেরণ করে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শরিফুল ইসলাম ২৮ মে নাটোর আদালতে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত ১৩ জুলাই লাশ উত্তোলনের অনুমতি প্রদান করেন।
এ প্রেক্ষিতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও লালপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শফিকুর আলমের উপস্থিতিতে লালপুর থানা পুলিশ মহারাজপুর গ্রামে ২৫ জুলাই বেলা ১১টায় পলির লাশ উত্তোলন করে নাটোর মর্গে প্রেরণ করে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ সিল্কসিটি নিউজকে জানান, ময়না তদন্তের পরই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। পলির দুই ভাই বর্তমানে জামিনে রয়েছে।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসীদের কেউ কেউ জানান, মিলন তার স্ত্রী সাবিনাকে মাস দুই আগে তালাক দেয়। সাবিনা পলিকে খুব আদর করতো। এ কারণে ঘটনার দিন পলি সাবেক ভাবী সাবিনার সাথে দেখা করতে যায়। বিকেলে বাড়ীতে ফিরলে রাগান্বিত ভাই মিলন পলিকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে তার মৃত্যু হলে ঘটনা ধামাচাপা দিতে তাকে দড়িতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হয় এবং তড়িঘড়ি করে রাতেই তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
পলি রামকৃষ্ণপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
স/শ