লালপুরে খেয়া ঘাটের আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে ৮ জন আহত 


লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:

নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীর নৌকা (খেওয়া) ঘাটের আধিপত্য নিয়ে আম্বুর ও জাহাঙ্গীর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে দুই পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছেন। রোববার (২৬ জুন ২০২২) দুপুরে উপজেলার লালপুর কলোনীতে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, আম্বুর গ্রুপের দক্ষিণ লালপুর কলোনীর মৃত ইছার উদ্দিনের ছেলে আমিরুল ইসলাম আম্বু (৩৫) ও শামীম (৩৮) এবং পান্নুর ছেলে বিপ্লব (৩৫)। অপর দিকে জাহাঙ্গীর গ্রুপের দক্ষিণ লালপুর চরের লোকমানের ছেলে সেন্টু (৩৭), নুবসারের ছেলে বকুল (৪০), দক্ষিণ লালপুর কলোনীর সানেজ আলীর ছেলে খাইরুল (৪৫), মোজাফফর হোসেনের ছেলে রিফাত হোসেন (১৭) ও লোকমান খাঁর ছেলে ঝন্টু (৩৩)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার লালপুর কলোনী পদ্মা নদীর নৌকা(খেওয়া) ঘাটের আধিপত্য নিয়ে বিরোধ নিরসনে লালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক পলাশের কাছে দুই পক্ষ যান। এ বিষয়ে কোন সমাধান না হওয়ায় চেয়ারম্যানের কাছে উভয়পক্ষ দুইদিন সময় চেয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের হয়ে যান। তাঁরা কলোনীর দিকে যাওয়ার সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় উভয় পক্ষের ৮ জন গুরুতর রক্তাক্ত জখম হন। তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ছয়জনকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। গুরুতর জখম আমিরুল ইসলাম ও বকুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুরুজ্জামান শামীম বলেন, মারামারিতে এলোপাতাড়ি আঘাতে তারা আহত হয়েছেন। তাদের দুজনকে রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. মোনোয়ারুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি। পরিাস্থতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাৎক্ষণিক চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থ্য নেওয়া হবে।

এস/আই