লালপুরে আরো ১ স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা শনাক্ত, ওটি লকডাউন

লালপুর প্রতিনিধি:

নাটোরের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরও একজন স্বাস্থ্য কর্মীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ কারণে তাঁর বাড়ি ও হাসপাতালের অস্ত্রোপচার কক্ষ লকডাউন করা হয়েছে।

উপজেলায় ১৭১জনের নমুনা সংগ্রহ করার পরে ৬৪জনের রিপোর্ট নেগেটিভ ও ৩ জনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। এনিয়ে লালপুর উপজেলায় মোট ৩ জন করোনায় আক্রান্ত হলো। এছাড়া বাকি ১০৪ জনের রিপোর্ট এখনো অপেক্ষায় আছে।

লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের অস্ত্রোপচার (ওটি) কক্ষে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া একজন ওটি সহকারীর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল গত ৭ মে। তাঁর শরীরে করোনারভাইরাসের কোনো উপসর্গ ছিল না। অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে তিনি নমুনা দিয়েছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রথমে মুঠোফোনে ও পরে ইমেইলের মাধ্যমে তাঁর পরীক্ষার প্রতিবেদন পজিটিভ বলে জানানো হয়।

সে একজন পুরুষ, তার বয়স (৩০) বছর। এখন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় নিজ গ্রামে অবস্থান করছেন। খবর পাওয়ার পর পরই গতকাল রাত ১১টার দিকে তাঁর গ্রামের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়। সেখানে তাঁকে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে আজ বুধবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি পর্যালোচনা করে হাসপাতালের অস্ত্রোপচার কক্ষ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। একই সঙ্গে আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে যাঁরা যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের নমুনা সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, এ পর্যন্ত লালপুর উপজেলায় তিনজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজনই লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মী।গত ৫ মে হাসপাতালের টেলি মেডিসিন বিভাগের এক স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হন। ওইদিন থেকে ওই বিভাগ লকডাউন রয়েছে। ৯ মে হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী এলাকার এক যুবক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তাঁকে বাড়িতে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ৪ এপ্রিল থেকে ১১ মে ২৯ জন সহ এ পর্যন্ত উপজেলায় মোট ১৭১জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ১৭১ জনের মধ্যে ১২ মে ২৫ জন সহ মোট ৬৭ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩জনের রিপোর্ট পজেটিভ ও ৬৪জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তাদের চিকিৎসা ও নিয়মিত খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।

ইউএনও উম্মুল বানিন দ্যুতি জানান, ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে নতুন আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীর বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। সেখানের পুলিশ লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন।

স/অ