লাদাখ নিয়ে কথা বলার কোনো অধিকার নেই চীনের, সাফ জানালো ভারত

লাদাখকে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বলে বেইজিং স্বীকৃতি দেয় না বলে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র যে বক্তব্য রেখেছিলেন কড়া ভাষার সেটার প্রতিবাদ জানিয়েছে নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘লাদাখ প্রসঙ্গে চীনের কিছু বলারই অধিকার নেই। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে, থাকবে।’

মঙ্গলবার চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিঝিয়ান বলেছিলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই যে, বেআইনি ভাবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা লাদাখকে ভারতের অঞ্চল বলে স্বীকৃতি দেয় না বেইজিং। অরুণাচল প্রদেশকেও নয়। সীমান্ত এলাকায় সামরিক বাহিনীর প্রয়োজনে যে নির্মাণকাজ হয়েছে আমরা তারও বিরুদ্ধে।’

ঝাও জানান, দ্বিপাক্ষিক ঐকমত্য অনুসারে ভারতের এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয়, যাতে উত্তেজনা বাড়তে পারে। দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সংঘাতের মূল কারণ হিসাবে সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে ভারতের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মসূচিকে দায়ী করেন তিনি।

ঝাও লিঝিয়ানের সেই অভিযোগের কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দাদের আর্থিক এবং সামাজিক মানোন্নয়নের লক্ষ্যেই অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু করেছি আমরা। কোনো অবস্থাতেই তা থামবে না।’

সোমবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পাকিস্তান ও চীন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ৪৪টি সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন। তারই প্রতিক্রিয়ায় লাদাখের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ঝাও। ওই সেতুগুলো লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং পাঞ্জাবের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় তৈরি করা হয়েছে। সামরিক কৌশলগত দিক থেকে কয়েকটি সেতুর অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রসঙ্গত, এর আগে লাদাখের এলএসি ঘেঁষে নির্মিত লেহ্-শিয়োক-দাবরুক-দৌলতবেগ ওল্ডি সড়ক নিয়েও আপত্তি জানিয়েছিল বেইজিং। অপরদিকে নয়াদিল্লির প্রতিবাদে কর্ণপাত না করে ‘চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর’ নামে জিনজিয়াং প্রদেশ থেকে পাকিস্তান অধিকৃত গিলগিট-বালতিস্তান হয়ে পেশোয়ার, ইসলামাবাদ ছুঁয়ে বেলুচিস্তানের গোয়াদর বন্দর পর্যন্ত রাস্তা বানিয়েছে চীন।

 

সুত্র; কালের কণ্ঠ