লাদাখে প্রশিক্ষিত পর্বতারোহী, মার্শাল আর্টিস্টদের পাঠায় চীন

সত্যিটা ধীরে ধীরে সামনে আসছে। চীনের স্টেট মিডিয়ায় প্রকাশিত এক রিপোর্ট বলছে ১৫ই জুন লাদাখে প্রশিক্ষিত পর্বতারোহী ও মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের পাঠিয়েছিল চিন। তারাই উস্কানিমূলক আচরণ করে সংঘর্ষ শুরু করে। ভারত হারায় নিজের ২০ জন সেনা জওয়ানকে।

চীনের স্টেট মিডিয়া জানাচ্ছে গত ৫০ বছরে এই ধরণের ভয়াবহ সংঘাত ভারত ও চিনের মধ্যে হয়নি। তবে এই প্রতিবেদনে চিনের ষড়যন্ত্র প্রকাশ করে ফেলেছে এই রিপোর্ট। রিপোর্ট জানাচ্ছে ১৫ই জুন ওই সংঘাত হওয়ার আগে থেকেই ওখানে মোতায়েন করা হয়েছিল মার্শাল আর্ট ফাইটারদের। ছিল চিনা প্রশিক্ষিত পর্বতারোহীরাও।

১৫ই জুন পাঁচটি নতুন মিলিশিয়া ডিভিশন তৈরি করা হয়েছিল, যার মধ্যে ছিল মাউন্ট এভারেস্ট অলিম্পিক টর্চ রিলে টিমের সদস্যরা। ছিল মার্শাল আর্ট ক্লাবের প্রশিক্ষিত সদস্যরা। তারা ১৫ই জুন লাসাতে ওই এলাকা পরিদর্শনে যায় বলে খবর। চায়না ন্যাশনাল ডিফেন্স নিউজের প্রতিবেদন বলছে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে তিব্বতের রাজধানি লাসায় নতুন করে সেনা দল তৈরি করা হয়।

তিব্বত কমান্ডার ওয়াং হাইজিয়াং জানান, এই ট্রুপে প্রশিক্ষিতদের বহাল করা হয়। তবে এই নতুন তৈরি হওয়া ট্রুপের সঙ্গে ১৫ই জুনের লাদাখ সংঘর্ষের কোনও যোগ রয়েছে কিনা, তা এই প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়নি। এদিকে, ১৫ই জুন গালওয়ান ভ্যালিতে ভারত-চিন সংঘর্ষের পর ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। সেই সংঘর্ষের ওপর বিশেষ গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রকাশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন রিপোর্ট বলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে গালওয়ান ভ্যালিতে ভারতীয় সেনার ওপর হামলা চালায় চিনা সেনা। পিপলস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ-কে হামলা চালাতে নির্দেশ দিয়েছিল খোদ বেজিংই। রিপোর্টে চিনা সেনার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও তুলে ধরা হয়েছে। রিপোর্ট জানাচ্ছে চিন সেদিন প্রথম হামলা চালায়। কলকাতা 24