লাইফ সাপোর্টে সালমান রুশদি, ২০ সেকেন্ডে ১০-১৫ বার কোপানো হয়

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদিকে যুক্তরাষ্ট্রে একটি অনুষ্ঠানে এক যুবক ২০ সেকেন্ডে ১০-১৫ বার কুপিয়েছে। তার অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। এক চোখ হারাতে হচ্ছে।

প্রথমে হলে উপস্থিত দর্শকরা ভেবেছিলেন, হয়তো কোনো ‘স্টান্ট’ চলছে মঞ্চে। সেই ভুল ভাঙতে সময় লাগেনি। দর্শকেরা দেখলেন— সত্যিই গায়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছুরি দিয়ে কোপানো হচ্ছে সালমান রুশদিকে!খবর ডেইলি মেইলের।

সন্ত্রস্ত প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, অন্তত ১০-১৫ বার কোপানো হয়েছে বুকারজয়ী ৭৫ বছর বয়সি ভারতীয় বংশোদ্ভুত বৃটিশ এই লেখককে।

শুক্রবার নিউ ইয়র্ক থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে শতকা ইনস্টিটিউশনের মঞ্চে বক্তৃতা করতে ওঠার সময় রুশদির ওপর এ হামলা চালানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মঞ্চে কারো সঙ্গে পরিচয় করানো হচ্ছিল লেখককে। সেই সময় আচমকা তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন ২৪ বছরের ওই যুবক।

চলতে থাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো। ওই সময় যারা মঞ্চে ছিলেন, তারা সঙ্গে সঙ্গেই হামলাকারীকে ধরে ফেলেন। ২০ সেকেন্ডের মধ্যে ১০-১৫ বার কোপানো হয়েছে রুশদিকে। তার ঘাড়েও আঘাত করা হয়েছে।

খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ রুশদিকে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে পাঠায়। গ্রেফতার করা হয় হামলাকারীকেও। আপাতত পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন অভিযুক্ত।

যুক্তরাষ্ট্রে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন তিনি। খবর আলজাজিরার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭৫ বছর বয়সি ভারতীয় বংশোদ্ভুত বৃটিশ-অ্যামেরিকান লেখক সালমান রুশদির ওপর হামলার অভিযোগে আটক ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেছে পুলিশ। ২৪ বছর বয়সী হাদি মাতার নিউ জার্সির বাসিন্দা। হামলাকারীর উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কিছু জানানো হয়নি।

নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সালমান রুশদি ভেন্টিলেটরে আছেন। কথা বলতে পারছেন না এবং চোখ হারাতে পারেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রুশদির এজেন্ট অ্যান্ড্রু ওয়াইলি বলেন, খবর ভালো নয়। সালমান বেঁচে গেলেও। এরই মধ্যে এক চোখ হারিয়েছেন সালমান। মারাত্মক জখম হয়েছে তার লিভার। ক্ষতিগ্রস্ত হাতের শিরাগুলো।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সাহিত্য বিষয়ক এক অনুষ্ঠানের মঞ্চে হামলার শিকার হন তিনি। গলা ও তলপেটে ছুরি মারা হয় তাকে।

উল্লেখ্য, ৮০’র দশকে বিতর্কিত উপন্যাস ‘স্যাটানিক ভার্সেস’র জন্য মুসলিম বিশ্বে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন রুশদি। এমনকি, তাকে হত্যার জন্য ফতোয়া ও ৩ মিলিয়ন ডলার পুরস্কারও ঘোষণা করেছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি।