সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে। এবার ঢাকা-বরিশাল-চাঁদপুর-ঝালকাঠী-হুলারহাট ও মোড়েলগঞ্জ রুটে ৭টি স্পেশাল লঞ্চের মাধ্যমে এ সার্ভিস দেবে বিআইডব্লিউটিসি। এ সার্ভিস চলবে ঈদের ৬ দিন পর পর্যন্ত।
মঙ্গলবার দুপুরে বিআইডাব্লিউটিএ সদরঘাটের নৌ-নিরাপত্তা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, দক্ষিণাঞ্চলের নৌ পথে ঘরে ফেরা যাত্রীদের জন্য বিভিন্ন লঞ্চের অগ্রিম টিকেট বিক্রি ১ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে। লঞ্চের মালিকরা নিজেদের সুবিধামতো ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করছেন। ইতিমধ্যে অধিকাংশ লঞ্চের কেবিনের টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। আর কয়েকটি লঞ্চের টিকিট এখনো পাওয়া যাচ্ছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদরঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ তেমন চোখে পড়েনি। তবে লঞ্চগুলোতে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করতে দেখা গেছে। শুধু কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।
পাবারত-৯ লঞ্চের টিকেট নিতে এসেছেন লতিফ নামের এক যাত্রী। তিনি জানালেন, পরিবারের সবার সঙ্গে ঈদ করতে সন্তানদের নিয়ে গ্রামে যাবেন তিনি। আগেই টিকিট বুকিং দিয়ে রেখেছিলেন, আজ সংগ্রহ করতে এসেছেন।
ঢাকা-ঝালকাঠি রুটে চলাচলকারী সুন্দরবন-২ লঞ্চের টিকিট কাউন্টারের কর্মী নোমান বলেন, তারা বেশ আগে টিকিট বিক্রি শুরু করেছেন। যারা আগে থেকেই বুকিং দিয়ে রেখেছেন তারা এখন টিকিট সংগ্রহ করছেন। এছাড়া অগ্রিম টিকিট শেষ হয়ে গেছে।
ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী ফারহান-৮ এবং পারাবত-৯ লঞ্চে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, অগ্রিম টিকিট বিক্রি করছেন তারা। অধিকাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। সামান্য পরিমাণ টিকিট খালি আছে।
জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকে স্পেশাল সার্ভিস শুরু হচ্ছে। ঈদের পরে ৬ দিন পর্যন্ত এ সার্ভিস দেওয়া হবে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘গত ঈদ থেকে নৌপথে যাত্রীদের জন্য প্রি-টিকিটিং সার্ভিস চালু করা হয়েছে। টিকিট ছাড়া কোনো যাত্রীকে লঞ্চে উঠতে দেওয়া হবে না। যাত্রীদেরকে আগেই টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। লঞ্চের মালিকরা নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করছেন। যতক্ষণ টিকিট থাকবে ততক্ষণ বিক্রি করা হবে।’
বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, এবার ঢাকা-বরিশাল-চাঁদপুর-ঝালকাঠী- হুলারহাট ও মোড়েলগঞ্জ রুটে ৭টি লঞ্চ স্পেশাল সার্ভিসে যুক্ত থাকবে এমভি বাঙালি, এমভি মধুমতি, পিএস মাহসুদ, অস্ট্রিচ, লেপচা, টার্ন ও এমভি সোনারগাঁ।
এদিকে নৌবন্দরে নৌপুলিশ, কোস্ট গার্ড, মেডিক্যাল টিম, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে।
সরকারি অফিস আদালত ও পোশাক শিল্পে ছুটি শুরু না হওয়ায় সদরঘাটে যাত্রীদের ভীড় এখনো শুরু হয়নি। ছুটি শুরু হলেই সময়ের সাথে সাথে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ভীড় বাড়বে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
সূত্র:রাইজিংবিডি