লঙ্কানদের চাপে রেখেছেন সাকিব-নাসুমরা

দারুণভাবে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ। শুরুতে উইকেট হারালেও একটা সময় ব্যাট হাতে ছড়ি ঘোরাচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে লঙ্কানদের ওপর চাপ ফিরিয়েছেন টাইগার বোলাররা। ৭৯ রানে তারা তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০.৩ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৮৫ রান। জিততে হলে ৫৭ বলে তাদের করতে হবে আরও ৮৮।

শ্রীলঙ্কার সামনে ১৭২ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই নাসুম আহমেদকে দিয়ে আক্রমণ শুরু করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ঘরের মাঠে দুই সিরিজে দুর্দান্ত ফর্মেই ছিলেন। তবে নাসুমকে বিশ্বকাপের প্রথমপর্বে একটি ম্যাচও খেলায়নি বাংলাদেশ টিম ম্যানেজম্যান্ট।

অবশেষে সুপার টুয়েলভের ম্যাচ দিয়ে একাদশে ফিরেছেন বাঁহাতি স্পিনার। আর সুযোগ পেয়েই দিয়েছেন অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান।

লঙ্কান ইনিংসের চতুর্থ বলেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন নাসুম। দারুণ এক ডেলিভারিতে স্ট্যাম্প ভাঙেন কুশল পেরেরার। ক্রস খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড লঙ্কান ওপেনার (১)।

কিন্তু শুরুর সেই ধাক্কা দারুণভাবে সামলে নেন পাথুম নিশাঙ্কা আর চারিথ আসালাঙ্কা। কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। বরং দুজনই চালিয়ে খেলতে থাকেন।

দ্বিতীয় উইকেটে তাদের ৪৫ বলে ৬৯ রানের ঝড়ো জুটিতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত নবম ওভারে এসে জোড়া আঘাতে টাইগারদের ম্যাচে ফেরান সাকিব আল হাসান।

বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার চার বলের ব্যবধানে তুলে নেন ২ উইকেট, দুটিই বোল্ড। ওভারের প্রথম বলে সাকিব বোল্ড করেন পাথুম নিশাঙ্কাকে (২১ বলে ২৪), চতুর্থ বলে ঘূর্ণিজাদুতে শিকার আভিষ্কা ফার্নান্ডো (০)।

লঙ্কানদের সেই বিপদের মধ্যেই আঘাত মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। ডানহাতি এই পেসারকে তুলে মারতে গিয়ে আকাশে বল ভাসিয়ে দেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (৬)। সহজ ক্যাচ নেন নাইম।

এর আগে নাইম শেখ আর মুশফিকুর রহিমের ফিফটিতে ভর করে ৪ উইকেটে ১৭১ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ।

লিটন দাস ১৬ বলে ১৬, সাকিব আল হাসান ৭ বলে ১০, আফিফ হোসেন ৬ বলে ৭ আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ শেষদিকে নেমে ৫ বলে ২ বাউন্ডারিতে করেন অপরাজিত ১০ রান।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ