রেসিপি: আমড়ার চাটনি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

মুখরোচক খাবার দেখলে কার না জিভে জল আসে! তেমনই জিভে জল আসার মতো একটি খাবার হলো আচার। আচার উপমহাদেশের সব মানুষেই পছন্দের খাবার।

আচার যেমনই মুখরোচক খাবার, তেমনই এর আছে বেশ কিছু স্বাস্থ্যগুণ। আবার খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতেও অনেকে আচার ব্যবহার করে থাকেন।

বিভিন্ন ফল দিয়ে তৈরি করা যায় আচার। সুস্বাদু সব আচারের মধ্যে একটি হলো আমড়ার আচার বা চাটনি। খুব সহজেই অল্প উপকরণে তৈরি করে নেওয়া যায় আমড়ার চাটনি। জেনে নিন রেসিপি-

উপকরণ

১. আমড়া আধা কেজি
২.সরিষা তেল ১/৪ কাপ
৩. তেজপাতা ২-৩টি
৪. এলাচ ২-৩টি
৫. দারুচিনি ২-৩টি
৬. পাঁচফোড়ন আধা চা চামচ
৭. রসুন কোয়া ৪টি
৮. শুকনো মরিচ ৪টি৯. সরিষা বাটা ১ টেবিল চামচ
১০. আদা বাটা ১ চা চামচ
১১.মরিচের গুড়া ১ চামচ
১২. হলুদের গুঁড়া আধা চামচ
১৩. ধনিয়া গুঁড়া ১ চা চামচ
১৪. জিরা আধা চা চামচ
১৫. মৌরি আধা চা চামচ
১৬. তেঁতুল ৩-৪টি
১৬. গুড়/চিনি স্বাদমতো
১৭. লবণ পরিমানমতো

পদ্ধতি

প্রথমেই আমড়াগুলো ৪ টুকরো করে নিন। ভালোমতো ধুয়ে নিতে হবে। এরপর একটি প্যানে পরিমাণমতো পানি দিয়ে হালকা আঁচে ৫ মিনিট আমড়াগুলো সেদ্ধ করে নিন।

যতক্ষণ না পানি শুকিয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ আমড়া সেদ্ধ করুন। চাইলে চামচ দিয়ে আমড়াগুলো ম্যাশ করে নিতে পারেন। তবে পুরোপুরি ম্যাশ করবেন না।

এরপর আলাদা প্যানে লো মিডিয়াম আঁচে সরিষার তেল গরম করে তেজপাতা, এলাচ, দারুচিনি, পাঁচফোড়ন, রসুন ও শুকনো মরিচ মিশিয়ে নাড়ুন।

সব উপকরণ ভেজে নিন যতক্ষণ না পাঁচফোড়নের সুগন্ধ বের হচ্ছে আর রসুনের রং বাদামি না হচ্ছে। এরপর সরিষা ও আদা বাটা মিশিয়ে দিন। কয়েক সেকেন্ড মসলাগুলো ভুনে নিন।

এরপর মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া, জিরার গুঁড়া ও মৌরি মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর সব মসলা ভালো করে কষিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন মসলা যেন পুড়ে না যায়।

এবার ২ চামচ ভিনেগার মিশিয়ে কয়েক সেকেন্ড ভুনে নিন। তারপর তেঁতুল মিশিয়ে দিন। এতে আচারের স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। তারপর দিয়ে দিন গুড় অথবা চিনি। সামান্য লবণ দিতে ভুলবেন না।

এরপর মসলার মিশ্রণে সেদ্ধ করে রাখা আমড়া মিশিয়ে নিন। লো মিডিয়াম আঁচে আমড়া নেড়েচেড়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখবেন নিচে যাতে না পুড়ে যায়। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল আমড়ার চাটনি।

শুকনো মরিচের গুঁড়া ও বিট লবণ ছড়িয়ে পরিবেশন করুন দারুন স্বাদের আমড়ার চাটনি। কাচের বয়ামে ছয় মাস পর্যন্ত রেখে দিতে পারবেন এই আচার। তবে মাসে মাসে অবশ্যই রোদে দিতে হবে আচার।

সূত্র: ফারজানা’স রেসিপি