রেশন বাঁচিয়ে আজও ত্রাণ নিয়ে রাজশাহীর অসহায়দের বাড়িতে ছুটলো সেনাবাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া রাজশাহীর হতদরিদ্রদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রেখেছে সেনাবাহিনী। তারা খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন অসহায়দের মাঝে।আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের অন্তর্ভূক্ত বাংলাদেশ ইনফেন্ট্রি জেরিমেন্টাল সেন্টারের উদ্যোগে গত প্রায় ১৫ দিন ধরে সেনাবাহিনী দুর্গম এলাকাতে গিয়েও ত্রাণ দিয়ে আসছে। আজ রবিবারও তারা জেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে হতদরিদ্রদের মাঝে খাবার পৌঁছে দেন। আজ পর্যন্ত ১ হাজার ২৭৫ পরি বার পেয়েছে সেনাবাহিনীর সহায়তা। রেশন বাঁচিয়ে এ সহায়তা করছে সেনাবাহনী।

সূত্র মতে, চাল, ডাল, আটা, তেল, আলু, লবণ, হ্যান্ডস্যানিটাইজার ও একটি করে সাবান প্যাকেট জেলার হতদরিদ্রদের বাড়ি বাড়ি ছুটছেন সেনা সদস্যরা। রাহশাহী নগরীর শাহমখুদম এলাকা থেকে শুরু করে জেলার দুর্গাপুরের আমগাছী, গৌরিহার, গোদাগাড়ীর তেরপাড়া, ধইসিপুর, ধনাঞ্জয়, ধমচিপুর, ধননজয়পুর, দিগ্রাম, ধনচাঁনপুর ও আমতলী, মোহনপুর উপজেলা, পুঠিয়া, বাগমারাসহ অন্যান্য উপজেলার প্রায় ৪ হাজার মানুষের মাঝে এরই মধ্যে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন সেনা সদস্যরা। গ্রামে গ্রামে গিয়ে নিজেরাই কাঁধে করে সেনা সদস্যরা ত্রাণের বস্তা পৌঁছে দিচ্ছেন।

এছাড়াও খুলনা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, নাটোর ও সিলেটের সেনাবাহিনীর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে।

ত্রাণ পাওয়া দুর্গাপুরের গৌরিহার গ্রামের মনিরা খাতুন বলেন, হঠাৎ দেখি সেনাবাহিনীর গাড়ি। তার পর দেখি আমার বাড়ির দিকেই আসছে তারা। কাছাকাছি আসার পরে দেখি তাদের একজনের কাঁধে ব্যাগ। পরে সেনাবাহিনী ওই খাবারের বস্তাডা আমার বাড়িতেই দিয়ে গেছেন। ব্যাগে চাল, ডালসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র। আল্লাহ তাদের ভালো করুক। এভাবে কখনো কেউ খাবার বাড়িতে দিয়ে যায়নি। খুব কষ্টেই আছুন। কয়দিন ধরে খাওয়ার কষ্টে ছিনু। এখন কয়েকটা দিন ভালোই যাবে।’

শুধু মনিরা খাতুনই নন, তাঁর মতো সাড়ে তিন হাজার হতদরিদ্র মানুষ এভাবে হঠাৎ করে সেনাবাহিনীর দ্রাণ পেয়ে অবাক হয়ে যাচ্ছেন। যাদের অনেকেই এই দুর্যোগের সময় কখনোই এর আগে ত্রাণ পাননি। আবার অনেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধি তারাও পাচ্ছেন সেনাবাহিনীর সহযোগিতা।

স/আর