রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোন নির্ধারিত হয় যেভাবে

১ জুন থেকে সাধারণ ছুটি তুলে নেয়ার পর কর্মচঞ্চল হয়ে উঠে দেশ। কিন্তু এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।

তাই অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে ও সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতে জোনভিত্তিক লকডাউনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। তার অংশ হিসাবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে লকডাউন কার্যকরে রোববার একটি গাইডলাইন প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এই গাইডলাইনে লাল, ইয়েলো এবং সবুজ এলাকা নির্ধারণের নীতিমালার কথা বলা হয়েছে।

তিন পদ্ধতিতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর-

১) প্রাথমিক নির্দেশক হিসাবে পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষাগারে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখে কতজন করোনা পজিটিভ রোগী চিহ্নিত হয়েছে।

২) দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক নির্দেশক হচ্ছে- পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে কেসের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে, সংক্রমণ বৃদ্ধির হার, রোগের লক্ষণভিত্তিক নজরদারি, অভ্যন্তরীণ অধিক সঞ্চরণশীলতা, অধিক দারিদ্র্য, খাবারের অপ্রতুলতা, নমুনা পজিটিভের হার, পরীক্ষিত নমুনার রিপোর্ট প্রদানে বিলম্ব এবং পরীক্ষার পর্যাপ্ততা।

৩) এছাড়া গাইডলাইনে বলা হয়, বাংলাদেশের সব ইউনিয়ন পরিষদ, মহানগরী, ওয়ার্ড, মহল্লা সব কিছু এই অঞ্চলায়নের অন্তর্ভুক্ত হবে। এই অঞ্চলায়নের সময় মহানগরীগুলোর ক্ষেত্রে, ইপিআই এলাকা বা অন্য কোনো সহজ পদ্ধতি (আকৃতিগত, প্রকৃতিগত অথবা সুবিধা মতো সীমানা) ব্যবহার করা হবে, যাতে করে অঞ্চলগুলোকে সুনির্দিষ্ট করা যায়।

রেড জোন নির্ধারণ করা হবে যেভাবে:

শুধু ঢাকা মহানগরীতে পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখে ৬০ জন বা এর অধিক করোনা রোগী শনাক্ত হলে সেই এলাকা রেড জোনের আওতাভুক্ত হবে। এছাড়া ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্যান্য এলাকায় পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখে ১০ জন বা এর অধিক শনাক্ত করোনা রোগী পাওয়া গেলে ওই এলাকা রেড জোন হিসেবে গণ্য হবে।

ইয়েলো জোন নির্ধারণ করা হবে যেভাবে:

ঢাকা মহানগরীর ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখ জনে ৩-৫৯ জন শনাক্ত করোনা রোগী পাওয়া গেলে ওই এলাকা ইয়েলো জোনের আওতাভুক্ত হবে। এছাড়া ঢাকার বাইরে অন্যান্য এলাকার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী ১৪ দিনের মধ্যে পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রতি ১ লাখে ৩-৯ জন শনাক্ত করোনা রোগী পাওয়া গেলে ওই এলাকা ইয়েলো জোন হিসেবে গণ্য হবে।

গ্রিন জোন নির্ধারণ করা হবে যেভাবে:

স্বাস্থ্য অধিদফতর রেড এবং ইয়েলো জোনের বাইরে দেশের বাকি ভৌগোলিক অংশকে গ্রিন বা সবুজ জোন বলছে। এখানে দুই ধরনের এলাকা আছে। যে সকল এলাকায় জোনিংয়ের শুরু থেকে কোনো কোভিড-১৯ রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি এবং যেসব এলাকায় পূর্ববর্তী ১৪ দিনে প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ৩ জনের কম সংখ্যক কোভিড-১৯ রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে।