রেকর্ডের হাতছানি সাকিবের

২০১৯ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপকে নিজের করে নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ব্যাটিংয়ে ৮ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি ও ৫ হাফসেঞ্চুরিতে ৬০৬ রান এবং ১১ উইকেট নিয়েছিলেন আসরে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ‘ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর’ সাকিব আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপটিও নিজের করে নিতে পারেন! রাঙাতে পারেন ব্যাট-বল হাতে। টি-২০ বিশ্বকাপ বাঁ হাতি স্পিন অলরাউন্ডারকে নতুন রেকর্ডের হাতছানি দিচ্ছে। ৩৫ বছর বয়সী স্পিনার আর মাত্র ১০ উইকেট পেলেই টি-২০ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হবেন। টপকে যাবেন শহীদ আফ্রিদি, ল্যাসিথ মালিঙ্গা, সাঈদ আজমল, অজন্থা মেন্ডিস, উমর গুল, ডেল স্টেইনদের। শুধু বিশ্বকাপ নয়, টি-২০ ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার মালিঙ্গাকে টপকে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির হাতছানিও দিচ্ছে বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটারকে।

রেকর্ডগুলোর মালিক হতে ১৭ অক্টোবর ওমানে শুরু টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম পর্বেই বাজিমাত করতে হবে বাঁ হাতি স্পিনারকে। ১৭ অক্টোবর সূচনা দিনে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড। ১৯ অক্টোবর স্বাগতিক ওমান ও ২১ অক্টোবর পাপুয়া নিউগিনি। তিন ম্যাচে মাত্র ২ উইকেট পেলেই তিনি পেছনে ফেলবেন মালিঙ্গাকে। কিছুদিন আগে ক্রিকেটকে বিদায় জানান লঙ্কান কিংবদন্তির পেসার। এর ফলে টি-২০ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হতে মাত্র ২ উইকেট চাই সাকিবের। ৮৪ ম্যাচে মালিঙ্গার উইকেট ১০৭ এবং সাকিবের উইকেট ৮৮ ম্যাচে ১০৬টি।

সাকিব বর্তমানে আইপিএল খেলতে দুবাইয়ে। আজ আইপিএল ফাইনাল। সাকিবের দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রতিপক্ষ মহেন্দ্র সিং ধোনীর চেন্নাই সুপার কিংস। ফাইনাল খেলেই ওমানে দলের সঙ্গে যোগ দিবেন সাকিব। কলকাতার হয়ে গত তিন ম্যাচে খেললেও পারফরম্যান্স ছন্দ পায়নি। তবে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিশ্বাস করেন এবার টি-২০ বিশ্বকাপ বাংলাদেশের পাশাপাশি সাকিবের হতে পারে, ‘সাকিব ছন্দে নেই, এটা আমি বিশ্বাস করি না। সাকিব সবসময় তার সেরাটা দিয়ে আসছেন। এবারও নিজেকে প্রমাণ করবেন।’

২০০৭ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত টানা ৬টি টি-২০ বিশ্বকাপে খেলেছেন সাকিব। ২৫ ম্যাচে তার রান ৫৬৭। সর্বোচ্চ ৮৪ এবং হাফসেঞ্চুরি তিনটি। তবে উইকেট সংখ্যা ৩০টি। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৬.৬৪। প্রতিটি উইকেট নিতে রান দিয়েছেন ১৭.৬। এখন পর্যন্ত টি-২০ বিশ্বকাপে ৩৮ ম্যাচে ৩৯ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি। দুইয়ে মালিঙ্গার উইকেট ৩১ ম্যাচে ৩৮, তিনে পাকিস্তানের সাঈদ আজমলের উইকেট ২৩ ম্যাচে ৩৬, চারে শ্রীলঙ্কার অজন্থা মেন্ডিসের ২১ ম্যাচে ৩৫, পাকিস্তানের উমর গুল ২৪ ম্যাচে ৩৫ উইকেট নিয়ে ছয়ে এবং সাতে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার ডেল স্টেইনের উইকেট ২৩ ম্যাচে ৩০টি।

রেকর্ড বইয়ে নাম লেখাতে সাকিবকে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মতো ছন্দোময় ক্রিকেট খেলতে হবে। তাহলেই তার পাশাপাশি বাংলাদেশ লাভবান হবে।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন