রিয়ালের কষ্টার্জিত জয়ের পর জিদানের ক্ষোভ

সার্জিও রামোসের শেষ ১০ মিনিটের পেনাল্টিতে পিছিয়ে থেকেও ১০জনের রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে ৩-২ গোলের জয় তুলে নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। এটি ছিল রিয়ালের নতুন মৌসুমের প্রথম জয়।আইসা মান্ডি ও উইলিয়াম কারভালহোর দুই মিনিটের দুই গোলে প্রথমার্ধেই ২-১ গোলের লিড নিয়েছিল বেতিস। এর আগে ১৪ মিনিটে ফেডে ভালভার্দের গোলে এগিয়ে যায় সফরকারী রিয়াল। কিন্তু বার্সেলোনা থেকে ধারে খেলতে আসা ডিফেন্ডার এমারসন দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে প্রথমে আত্মঘাতী গোলে সমতা আনেন।

এরপর লুকা জোভিচকে ফাউলের অপরাধে লাল কার্ড দেখে মাঠ ত্যাগ করেন। যে কারণে ৬৭ মিনিটের পর থেকে বাকি সময়টা বেতিসকে ১০জন নিয়েই খেলতে হয়েছে। ৮২ মিনিটে ভিএআর মাদ্রিদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে আসে। মার্ক বার্তার হাতে বল লাগায় তা ভিএআরয়ে ধরা পড়লে পেনাল্টি উপহার পায় মাদ্রিদ। স্পট কিক থেকে রামোস কোনো ভুল করেননি। যদিও এই পেনাল্টির সিদ্ধান্তে বেতিস ভীষণ ক্ষুব্ধ ছিল। যদিও অনেকেরই মত লাল কার্ডটি সঠিক হলেও এই পেনাল্টিতে বেতিসের দূর্ভাগ্যই কাজ করেছে।

দিন শেষে অবশ্য রিয়াল স্বস্তির জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে। এর আগে প্রথম ম্যাচে রিয়াল সোসিয়েদাদের সাথে গোলশূন্য ড্রয়ের মাধ্যমে মৌসুম শুরু করেছিল জিনেদিন জিদানের দল। ম্যাচ শেষে জিদান বলেছেন, ‘আমি রেফারিং নিয়ে কোন কথা বলতে চাই না। আমরাও পুরো ম্যাচে অনেকগুলো ভুল সিদ্ধান্তের জন্য ভুগেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারাটাই স্বস্তির ছিল।’

গত মৌসুমের ধারাবাহিকতায় রামোস আরো একবার পেনাল্টি থেকে গোল দিয়ে মাদ্রিদের জয় নিশ্চিত করলেন। কিন্তু পুরো ম্যাচে জিদানের দলের রক্ষণভাগের দূর্বলতা মারাত্বক ভাবে চোখে পড়েছে। ১৮ মাস আগে জিদান কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম কোনো লিগ ম্যাচে প্রথমার্ধে মাদ্রিদ দুই গোল হজম করল। এটা প্রতিপক্ষকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনেক বড় একটি সুযোগ ছিল।

কালকের ম্যাচে দলে ছিলেন না ইনজুরি আক্রান্ত এডেন হ্যাজার্ড। পুরোপুরি ফিটনেস ফিরে না পাওয়ায় জিদান তাকে বদলি বেঞ্চেও রাখেননি। এদিকে মূল একাদশে জোভিচের অন্তর্ভূক্তি ছিল বিস্ময়কর। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি বেঞ্চে যাওয়ার আগে এই সার্বিয়ান বেশ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করেছেন। ডানদিক থেকে বেনজেমার ক্রসে ভালভার্দে ১৪ মিনিটে মাদ্রিদকে এগিয়ে দেন। মাত্র আট গজ দুর থেকে রামোস ব্যবধান প্রায় দ্বিগুণ করেই ফেলেছিলেন। কিন্তু অল্পের জন্য বল জালে জড়ায়নি।

এরপর থেকেই বেতিস ম্যাচের ছন্দ ফিরে পায়। একের পর এক আক্রমণে তারা মাদ্রিদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় সার্জিও কানালেসের ক্রস থেকে ক্যাসেমিরোর মাথার উপর দিয়ে উঠে হেডের সাহায্যে ৩৫ মিনিটে সমতা ফেরান মান্ডি। দুই মিনিপ পর নাবিল ফেকিরের অ্যাসিস্টে শক্তিশালী শটে বেতিসকে এগিয়ে দেন কারভালহো।

কিন্তু বিরতির পর কালভাহালের ক্রস থেকে ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার এমারসন তার নিজের জালেই বল জড়ালে ৪৮ মিনিটে আত্মঘাতী গোলের লজ্জায় পুবে বেতিস। সেই সাথে সমতায় ফিরে মাদ্রিদ। ৬৭ মিনিটে জোভিচকে পিছনে থেকে ফাউলের অপরাধে লাল কার্ড পান এমারসন। রামেসের ফ্রি-কিক অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত বার্তার হ্যান্ডবলে প্রাপ্ত পেনাল্টি থেকে রামোস আর ভুল করেননি।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ