রিয়ালকে শিরোপার আরও কাছে নিলেন রামোস

রাত জেগে বার্সেলোনার যেসব সমর্থকেরা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট হারানোর আশায় খেলা দেখতে বসেছিলেন, গেতাফে তাঁদের আরেকটু হলেই খুশি করে দিয়েছিল!

কিন্তু সার্জিও রামোস মাঠে থাকতে সেটা হতে দেবেন কেন? যোগ্য অধিনায়কের মতোই নিজের দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন তিনি। আর তাতে শিরোপাদৌড়ে আরেকটু পিছিয়ে গেল বার্সেলোনা।

স্থগিত লিগ আবারও শুরু হওয়ার পর থেকে একদমই ফর্মে ছিল না গেতাফে। পাঁচ ম্যাচ খেলে জিতেছিল মাত্র একটায়। ওদিকে গেতাফের বিপক্ষে লিগে সর্বশেষ ১১ ম্যাচেই অপরাজিত ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের মাঠে গিয়ে গেতাফের কী হয়ে গেল কে জানে!

তিরিশ মিনিটের মধ্যেই রিয়াল মাদ্রিদের দুজন ডিফেন্ডার রামোস ও কারভাহাল হলুদ কার্ড খেয়ে বসলে একটু সতর্ক হয় মাদ্রিদ। তিন মিনিট পর চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন আরেক ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারান। প্রথমার্ধে মোটামুটি পুরোটা সময় বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও গেতাফের চাপ নিতে হিমশিম খেয়েছে রিয়াল। গোল বরাবর রিয়ালের পাঁচটা শটের বিপরীতে গেতাফে শট নিয়েছে একটা বেশি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আস্তে আস্তে ম্যাচে ফেরা শুরু করে তারা।

দ্বিতীয়ার্ধেও গেতাফে রিয়াল মাদ্রিদকে বেশ ভালোই যন্ত্রণা দেওয়া শুরু করে। কিন্তু ৬৯ মিনিটে গেতাফের উরুগুইয়ান লেফটব্যাক ম্যাথিয়াস অলিভিয়েরা অবৈধভাবে রিয়ালের রাইটব্যাক দানি কারভাহালকে ফেলে দেন।

অপ্রত্যাশিতভাবে পাওয়া সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল করেননি অধিনায়ক রামোস। গোল করে এগিয়ে যায় রিয়াল। বাকি সময়ে গেতাফেকে আর গোল করার সুযোগ দেয়নি রিয়াল। পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে লস ব্লাঙ্কোসরা। গোটা ম্যাচে দুই দলের খেলোয়াড়েরা হলুদ কার্ড দেখেছেন দশবার। রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদানও হয়তো স্বীকার করবেন না, যে এই ম্যাচটা খুব অসাধারণ খেলেছে রিয়াল। কিন্তু অসাধারণ না খেলেও পূর্ণ তিন পয়েন্ট পাওয়াটা বড় দলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সে বৈশিষ্ট্যটাই যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন রামোস ও তাঁর দল।

৩৩ ম্যাচ শেষে বার্সার চেয়ে ৪ পয়েন্টে এগিয়ে আছে রিয়াল (৭৪)। ৩৩ ম্যাচে বার্সার সংগ্রহ ৭০ পয়েন্ট। আর পাঁচটি করে ম্যাচ খেলবে দুটি দল।

 

সুত্রঃ প্রথম আলো