রায় ঘোষণা না হওয়ায় যা বললেন আবরারের মা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়েছেন আদালত। রোববার ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আগামী ৮ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করেন।

রায় ঘোষণা না হওয়ায় ক্ষুব্ধ আবরার ফাহাদের পরিবার। আবরারের মা রোকেয়া খাতুন বলেন, আবরার হত্যা ছিল স্মরণকালের ভয়াবহ নিকৃষ্টতম মৃত্যু। এজন্য সারা দেশবাসী রায়ের দিকে তাকিয়ে ছিল। হয়তো কোনো সমস্যার কারণে আদালত আজ রায় দেননি। তবুও আমি আদালতের ওপর সম্মান রেখেই বলছি, আর যেন রায়ের তারিখ পেছানো না হয়। আগামী ৮ ডিসেম্বর যেন রায় দেওয়া হয় এবং সেই রায়ে সবার যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয়।

ছেলের হত্যার রায় শোনার অপেক্ষায় সকাল থেকেই সব কাজ শেষ করে টিভির পর্দার সামনে বসেছিলেন আবরারের মা রোকেয়া খাতুন। দুপুর ১২টায় টিভির খবরের শুরুতেই আবরারের খবর দেখে চোখে পানি ধরে রাখতে পারেননি মা রোকেয়া খাতুন। টিভিতে ছেলের হত্যাকারীদের পুলিশ আদালতে নিয়ে যচ্ছে দৃশ্যটি দেখেই অঝোরে কাঁদতে থাকেন তিনি। পাশে বসে ছিল আবরারের ছোটভাই আবরার ফাইয়াজ, কাকা আমিরুল ইসলাম, মামা আব্দুল কাদের ও কাকি ও মামি।

আবরারের ভাই ফাইয়াজ জানান, রায় ঘোষণা না হওয়ার কারণ বলতে পারব না। তবে রায় যখনই হোক উপযুক্ত শাস্তির রায় হবে বলে আশা করছি। আজ রায় ঘোষণা না হওয়ায় আমরা দারুণভাবে মর্মাহত।

সোয়া ১২টার দিকে আবরারের ছোটভাই ফাইয়াজের মোবাইলে ফোন আসে বাবা বরকত উল্লাহর। ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আবরারের বাবা জানান রায় ঘোষণা হচ্ছে না। আগামী ৮ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা হবে। এ সময় পাশেই বসে থাকা রোকেয়া খাতুন কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় জানান, বড় আশা করছিলাম আজ আবরার হত্যার রায় হবে। খুনিদের উপযুক্ত শাস্তির কথা শুনব; কিন্তু রায় না হওয়ায় আমরা সাংঘাতিক কষ্ট পেলাম।

তিনি আরও বলেন, আসামিদের কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার, যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর এ ধরনের হত্যাকাণ্ড  সংঘটিত না হয়। তিনি প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকের প্রতি উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান।

 

 

সুত্রঃ যুগান্তর