রাসিকের যে চার ওয়ার্ডে করোনায় মৃত্যু হয়নি কারও

নিজস্ব প্রতিবেদক:


করোনার সংক্রম ও মৃত্যু, দুই বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। কি নগর কি গ্রাম, আক্রান্ত ও মৃত্যুর খবর সবক্ষণে। তবে এমন কিছু ওয়ার্ড রয়েছে, সেখানে অক্রান্ত হলেও মৃত্যু হয়নি একজনেও। এমন খবর নিঃসন্দেহে অবাক করার মতোই। রাজশাহী সিটি করপোরেশনে (রাসিক) এমন চারটি ওয়ার্ড রয়েছে। যে ওয়ার্ডগুলোতে করোনাভাইরাস হানা দিয়েছে, তবে করোনা পজেটিভ হয়ে এখন পর্যন্ত একজনও মৃত্যু বরণ করেননি।



বিষয়টি নিশ্চিত করে রাসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আঞ্জুম আরা বেগম বলেন- নগরীতে ৩০টি ওয়ার্ড রয়েছে। এর মধ্যে ১১, ২৪, ২৫ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা পজেটিভ হয়ে একজন মানুষও মারা যায়নি। তবে কেউ যদি মারা গেছেন উপসর্গ নিয়ে। তাদের মৃত্যু সনদে করোনা পজেটিভ নেই। তিনি আরও বলেন- শুধু মাত্র মৃত্যু সনদে করোনা পজেটিভ আছে এমন মানুষ এই চারটি ওয়ার্ডের নেই। তাই বলা যায়- এই চারটি ওয়ার্ডে করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুদ রানা জানান, ‘আমার ওয়ার্ড বেশি খেটে খাওয়া মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো ও সিটি মেয়র লিটনের দেওয়া ত্রাণগুলো রাতের আধারে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মাইকিং করা ছাড়াও মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ওয়ার্ডবাসীদের জানানো হয়েছে- আপনারা বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের হবে না। সরকারের দেওয়ার স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলবেন।

সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে- রাসিক সবকটি ওয়ার্ডে হানা দিয়েছে করোনা। মাত্র চারটি ওয়ার্ড বাদে সব ওয়ার্ডে একের অধিক মানুষ করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে। উপসর্গ ছাড়া একজন করোনা পজেটিভ হয়ে মারা গেছেন ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে। এছাড় সব ওয়ার্ডে একজনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে বেশি মৃত্যু হওয়া ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ জন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ জন, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ জন করে মৃত্যু বরণ করেছেন।

সর্বশেষ ২৩ জুন (বুধবার) রাজশাহী সিভিল সার্জনের পাঠানো তথ্য মতে, পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭৬ জন নগরীর বাসিন্দা মারা গেছেন। এছাড়া জেলা ও নগরী মিলে মারা গেছেন ১৩১ জন। সেই হিসেবে নগরীর ১জন ও জেলা চারজন মারা গেছেন। এদিন আর ২৪ ঘন্টার হিসেবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন ১৬ জন।

৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম পিন্টু জানান- সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি ও সিটি মেয়র লিটনের দেওয়া দিক নির্দেশনায় কাজ করেছি। ওয়ার্ডে মাইকিং করা হয়েছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে। এছাড়া ত্রাণও বিতরণ করা হয়েছে। এর ফলে মানুষ বেশি বাইরে বের হয়নি। ফলে সংক্রমিত হয়নি।

স/আ