রাষ্ট্রপতির সংলাপে যাবে না জেএসডি ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের চলমান সংলাপে অংশ নেবে না জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।

আজ বৃহস্পতিবার সেগুনবাগিচায় সংবাদ সম্মেলনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।

অন্যদিকে এই ইস্যুতে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেছেন জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রব। তার দলও রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে সংলাপে অংশ নেবে না বলে জানা গেছে।

সংলাপে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে সাইফুল হক বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনকল্পে রাষ্ট্রপতির সংলাপ অপ্রয়োজনীয়, প্রচারসর্বস্ব ও রাষ্ট্রপতির মূল্যবান সময়ের অপচয় মাত্র। রাষ্ট্রপতি ব্যক্তিগতভাবে যাই মনে করুন না কেন, বাস্তবে সরকার তথা প্রধানমন্ত্রীর মতামত ও পরামর্শের বাইরে সাংবিধানিকভাবে তার কিছুই করার নেই। গত দুই নির্বাচন কমিশন এবং তার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ ও সার্চ কমিটির অভিজ্ঞতাই তার এক বড় নজির। বিশেষ করে নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের তিক্ত ও করুণ অভিজ্ঞতা তার প্রমাণ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য- মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, সিকদার হারুন মাহমুদ, কামরুজ্জামান ফিরোজ, ঢাকা মহানগর নেতা সালাউদ্দীন আহমেদ, কাঞ্চন মিয়া প্রমুখ।

গত ২০ ডিসেম্বর প্রথম দিনে জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ২২ ডিসেম্বর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। ইতোমধ্যেই ১৬টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষ করেছেন তিনি।

এর আগে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। রাষ্ট্রপতিকে সিইসি এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। গত কয়েকটি মেয়াদে রাষ্ট্রপতি ‘সার্চ কমিটি’র সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন। বর্তমান ইসির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ের মধ্যেই রাজনৈতিক প্রস্তাবের ভিত্তিতে সার্চ কমিটির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন গঠন করবেন, যাদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

 

সূত্রঃ যুগান্তর