রামেক হাসপাতালে ল্যাব ২ মাস ধরে বন্ধ

দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব। গত বছর করোনাকালে এ ল্যাবটিতে প্রতিদিন ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হতো। রাজশাহীতে করোনার প্রকোপ বেড়ে গেলে গত বছরের ১৯ মে ল্যাবটি চালু হয়।

জানা গেছে, সর্বশেষ ৮ ফেব্রুয়ারি এ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল। তারপর থেকে ল্যাবটি বন্ধ আছে। তবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবটিতে এখন চার শিফটে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। হাসপাতালের ল্যাবটি বন্ধ থাকায় কলেজ ল্যাবে নমুনা জট তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশের মতো রাজশাহীতেও করোনার প্রকোপ কমে এলে গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ল্যাবটিতে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ করা হয়। হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের যেসব কর্মী এনে হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবটি চালানো হচ্ছিল তাদের নিজ নিজ জায়গায় ফেরত পাঠানো হয়। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে রাজশাহীতে এখন আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চললেও ল্যাবটি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

জানা গেছে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে রাজশাহী ছাড়াও পার্শ্ববর্তী তিনটি জেলার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে চার শিফটে। প্রতিদিনই এখানে নমুনার সংখ্যা বাড়ছে। ফলে দিনের পরীক্ষা দিনে করা যাচ্ছে না। নমুনা জট শুরু হয়েছে। বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যাও। মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। কলেজ ল্যাবের কর্মীরা বলছেন, তাদের ল্যাবে ভীষণ চাপ পড়ছে। হাসপাতালের ল্যাবটি চালু করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এতে আরও নুমনা পরীক্ষা সম্ভব হবে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী বলেন, আমাদের যে জনবল রয়েছে তাতে দুই শিফটে কাজ করা সম্ভব।  কিন্তু নমুনার চাপ বেড়ে যাওয়ায় আমরা চার শিফটে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছি। চার শিফটে সর্বোচ্চ ৩৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করতে পারি। কিন্তু চাপ এতটাই বেড়েছে যে, চার শিফট কাজ করার পরও উদ্বৃত্ত থেকে যাচ্ছে তিন শতাধিক নমুনা। তাই হাসপাতালের ল্যাবটিও চালু করা প্রয়োজন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মলিকুলার বায়োলজি ল্যাবের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বিভাগীয় ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবের বৈজ্ঞানিক এসএম হাসান এ লতিফ বলেন, হাসপাতালের ল্যাবটি যে কোনো সময় চালু করা যেতে পারে। ফেব্রুয়ারিতে নমুনা কমে যাওয়ায় বন্ধ রাখা হয়েছিল। এখন এটি চালু করতে লোকবল দরকার।

তিনি জানান, এ মুহূর্তে জরুরিভাবে চারজন চিকিৎসক এবং চারজন মলিকুলার বায়োলজিস্ট দরকার। এর বাইরে ১২ জন টেকনোলজিস্টও প্রয়োজন। জনবল চাহিদা মিটলেই তারা ল্যাব চালু করতে পারেন।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শামিম ইয়াজদানি বলেন, ল্যাবটি স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে চলছিল। তারা ফেব্রুয়ারিতে চলে গেছে। এজন্য এখন ল্যাব চালু করতে যে লোক দরকার তা তাদের নেই। আমরা এটি নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগে চিঠি দিয়েছি। তারা লোকবল দিলেই এটি চালু করা যাবে।

সূত্র:যুগান্তর