রামেক হাসপাতালে হাইফ্লো অক্সিজেন মেশিন দিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনাভাইরাস জনিত অসুস্থ রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সারা দেশের মতো রাজশাহীর হাসপাতালেও অক্সিজেনের চাহিদা বেড়েছে। শুধু অক্সিজেন থাকলেই হবে না; সাথে থাকা প্রয়োজন অক্সিজেন সরবরাহের সুষ্ঠ ব্যবস্থা। এর জন্য ভেন্টিলেটর সম্বৃদ্ধ আইসিইউ প্রয়োজন। বর্তমান পরিস্থিতিতে চাহিদার অনুপতে দেশ-বিদেশ সবখানেই ভেন্টিলেটরের ঘাটতি রয়েছে।

এদিকে ভেন্টিলেটর সুবিধার প্রাথমিক বিকল্প হিসেবে ‘হাইফ্লো অক্সিজেন মিটার’ এরই মধ্যে আলোচনায় এসেছে। এই যন্ত্রটির মাধ্যমে রোগীকে তার চাহিদা অনুপাতে অক্সিজেনের মাত্রা কম বা বেশি পরিমাণে সরবরাহ করা সম্ভব। যা তার জীবন বাঁচাতে সহযোগীতা করছেন।

চিকিৎসকদের দেয়া তথ্য মতে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে এই অক্সিজেন মিটার এতোদিন ছিলো না। তবে হাসপাতালটিতে ১৫ টি ভেন্টিলেটরসহ আইসিইউ বেড রয়েছ। যা চাহিদার তুলনায় কম বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

তবে এবার রামেক হাসপাতালের রোগীদের পাশে সেই হাইফ্লো অক্সিজেন মিটার নিয়ে এসে দাড়িয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। শনিবার তার পক্ষ থেকে দুইটি হাইফ্লো অক্সিজেন মিটার (অপটিফ্লো নোজাল হাইফ্লো অক্সি থেরাপি মেশিন) রামেক হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বারিন্দ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বারিন্দ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এমডি মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, প্রিন্সিপাল ডা. বিকে দাম, ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. সুজিত কুমার ভদ্র, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল নওশাদ আলী প্রমুখ।

এর আগেও পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের পক্ষ থেকে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনসহ সরকারি বিভিন্ন অফিসে, স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে ছিলো পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাবস, হ্যাণ্ড সেনিটাইজার।

এদিকে এর আগে ২৯ জুন মন্ত্রী তার ফেসবুকে হাইফ্লো অক্সিজেন মিটারের গুরুত্ব তুলে ধরে একটি পোস্ট দিয়ে ছিলেন। পোস্টটি হুবহু তলে ধরা হলো-

একদিনে অনেকগুলো মৃত্যুসংবাদ আজকে।

বিস্তারিত লিখতে পারছিনা। মৃতদের পরিবারদের সমবেদনা আর নিভৃতে তাদের জন্য দোয়া করা ছাড়া কি আর করতে পারি।

একটা ভালো সংবাদ নিজের উদ্যোগে অস্ট্রেলিয়া থেকে পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত কোম্পানির সহজে ব্যবহার করা যায় (আই সি ইউ ছাড়া) এরকম হাইপ্রেশার অক্সিজেন কেনোলা এনেছি কয়েকটা।
কালকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এবং পরশুর মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হস্তান্তর করবো ইনশাআল্লাহ।

স/রা