রাবি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনজীবীর লিগ্যাল নোটিশ

রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক শিক্ষিকার সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি রুখতে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়েছে। রোববার (৩ জুলাই) নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মোসাব্বির হাসান ভুইয়া।

লিগ্যাল নোটিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস ২০১৭ সালের আগের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তন করেন। পরে নতুন নীতিমালা তৈরি করেন ২০১৮ সালে। এই নীতিমালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে প্রভাষক পদে তিনজন শিক্ষকের নিয়োগ হয়। তারা হলেন– সাইমুন তুহিন ও নূর নুসরাত সুলতানা এবং বনশ্রী রানী। তাদের চেয়েও বেশি সিজিপিএ থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ পাননি মোহাম্মদ নূরুল হুদা নামের এক শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় নুরুল হুদা ২০২১ সালের ২০ জুন ‘মো. নুরুল হুদা বনাম বাংলাদেশ সরকার ও অন্যান্য’ শিরোনামে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। সেই রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ এক রুল জারি করেন। রুলে তাদের নিয়োগ কেনো অবৈধ নয় এবং ২০১৭ সালের নিয়োগ নীতিমালা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চাওয়া হয়। এখন‌ও তা শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তারপরও নূর নুসরাত সুলতানার সহকারী অধ্যাপক হিসেবে আগামীকাল পদোন্নতির জন্য মৌখিক পরীক্ষা হওয়ার কথা। একারণে রাবির প্রাক্তন শিক্ষার্থী  নুরুল হুদার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মোসাব্বির হাসান ভুইয়া গত ৩০ জুন উকিল নোটিশ দিয়েছেন। নোটিশে নিয়োগের বৈধতা নিয়ে রুল জারি থাকা অবস্থায় পদোন্নতি বেআইনি বলে জানানো হয়।

এ বিষয়ে নুরুল হুদা বলেন, আদালতের রুল জারির নিষ্পত্তি হ‌ওয়ার আগেই এ ধরনের কোনো প্রমোশন দেয়া যায় না। এটা আদালত অবমাননা। এজন্য আমি তাদেরকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছি।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুসাব্বির হাসান রোমান বলেন, ‘তার নিয়োগের বৈধতার বিষয়ে এখনো রিট চলমান আছে। এ অবস্থায় তার পদোন্নতি বেআইনি। কারণ ভবিষ্যতে আদালত থেকে তার নিয়োগ অবৈধও হতে পারে।’

পদোন্নতি বোর্ডের সদস্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সভাপতি সরকার আলী আক্কাস বলেন, ‘নিয়োগের বৈধতার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলতে পারবে ৷ তবে ব্যক্তিগত কারণে আমি আগামীকাল উপস্থিত থাকতে পারবো না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এস/আই