রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক,রাবি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) রিপোর্টার্স ইউনিটির ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করে সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার (২৪.১০.১৯) বিশ^বিদ্যালয়ের রাকসু ভবনে রিপোর্টার্স ইউনিটির নিজস্ব কার্যালয়ে আমন্ত্রিত অতিথিরা কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিক পর্বের উদ্বোধন করেন।

পরে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়কগুলো ঘুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সিনেটে ‘আগামী দিনের সাংবাদিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ বকুল।

তিনি বলেন, গণমাধ্যম হলো রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ব। রাষ্ট্রের অন্য তিনটি স্তম্ভ যদি দুর্বল হয়ে যায় সেক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যম সেগুলোকে প্রভাবিত করে এবং সুষ্ঠুভাবে চলতে পথ প্রদর্শন করে। তাই রাষ্ট্র সঠিকভাবে পরিচালিত হওয়ার জন্য সংবাদ মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকা জরুরি।


অনুষ্ঠানের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, দিনের পর দিন সংবাদ মাধ্যমে পরিবর্তন আসলেও সাংবাদিকতা রয়েই গেছে। ভবিষ্যতেও সাংবাদিকতা থাকবে হয়ত বা শুধু সংবাদ মাধ্যম পরিবর্তন হয়ে নতুন মাত্রার গণমাধ্যম আসবে। সংবাদ মাধ্যম যে মাধ্যমেই হোক না কেন একজন সাংবাদিককে অবশ্যই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করতে হবে। চিকিৎসক যেমন রোগীর চিকিৎসা করে তেমনি একজন সংবাদকর্মী সমাজ, দেশ ও জাতীর সেবা করে থাকে। একটি সংবাদ প্রকাশে দেশ ও জাতির যেমন কল্যাণ হতে পারে ঠিক তেমনি একটি সংবাদই পারে দেশ ও জাতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে।

রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী শাহেদ বলেন, সংবাদ মাধ্যমে দিনের পর পরিবর্তন আসছে। এই পরিবর্তনের ফলে আগামী দিনের সাংবাদিকতায় অনেক বড় চ্যালেঞ্জ আসবে। যেটা আমাদেরকেই মোকাবেলা করতে হবে। এক্ষেত্রে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা পারে এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করতে।

রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মর্তুজা নুরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ফরিদের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু, রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী রমজান, সাবেক সভাপতি কায়কোবাদ খান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা ছাড়াও ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে সাবেক-বর্তমানদের প্রীতি আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি (রুরু) ২০০১ সালের ২৪ শে অক্টোবর যাত্রা শুরু করে। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা চর্চা করে আসছে সংগঠনটি।