রাবির রহমতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি শিক্ষার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রহমতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিলি জেসমিন ও সহকারী আবাসিক শিক্ষিকা পাক নেহাদ বানুর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টার কাছে ২৫৬ ছাত্রী স্বাক্ষর সম্বলিত লিখিত অভিযোগে তারা এ দাবি জানিয়েছেন।

 
এর আগে বেলা ১১টার দিকে এ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেয় হলের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের হাতে হল প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। পরে তারা সেখান থেকে ছাত্র উপদেষ্টার কক্ষে যান। সেখানে হলের ২৫৬ ছাত্রীর গণস্বাক্ষরসহ একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন। এসময় ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান তাদের সমস্যা সমাধানের অশ্বাস দিলে তারা ফিরে যান।

 
ওই অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘আমরা আমাদের হলের প্রাধ্যক্ষ এবং আবাসিক শিক্ষক পক নেহাদ বানুর খারাপ আচরণে অতিষ্ট। আমাদের হলে প্রচুর অনিয়ম চলে এবং এর ভুক্তভোগী হলের অধিকাংশ ছাত্রী। আমরা তাদের দু’জনেরই পদত্যাগ চাই।’

120 copy

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রীদের কোনও সমস্যা প্রাধ্যক্ষ বা আবাসিক শিক্ষিকাকে জানালে তারা সেটা না শুনে দুর্ব্যবহার করে। এমনকি হল ছেড়ে যেতে এবং পরিবার নিয়ে কটূ কথা বলে। গণরুমে অতিথি কার্ড করার জন্য অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। কার্ড হলেও তা ইচ্ছাকৃতভাবে প্রদান করতে দেরি করে। ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ বাদ রেখে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রীদের কোনও অ্যালোটমেন্ট ছাড়াই গণরুমে গেস্ট কার্ড প্রদান। কক্ষে পর্যাপ্ত পরিমাণ সিট থাকা সত্ত্বেও তৃতীয় ও চতুর্ত বর্ষের ছাত্রীদের কক্ষে সিট দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলাসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান বলেন, তাদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

 

জানতে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিলি জেসমিন অভিযোগ অস্বীকার করে সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, আমি হলের ছাত্রীদের সমস্যা না দেখলে কে দেখবে। ছাত্রীদের সমস্যা দেখার জন্যই আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

স/শ