রাবির পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও কাটেনি আতঙ্ক


নিজস্ব প্রতিবেদক :
দুইদিন চরম অস্থিরতার পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্যাম্পাস। গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে তুচ্ছ ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠে রাবি। শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে রাতভর চলে রাবি শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের হামলা, অগ্নিসংযোগের ঘটনা। পরের দিন রোববার সকাল থেকে চলে রাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ। প্রশাসনিক ভবনে তালা ও অবরুদ্ধ করা হয় রাবি উপচার্যকেও। বিকেল গড়ানোর পর পুনরায় শুরু হয় আন্দোলন। তবে রাতে রাবির দক্ষিণ পাশের রেল লাইনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা দিয়ে শেষ হয় আন্দোলন। এরপর আর গতকাল সোমবার রাবিতে কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের ভয় ও শঙ্কা কাজ করছে বলেও অনেক শিক্ষার্থীরা মন্তব্য করেন।

সোমবার সকাল রাবি ক্যাম্পেসে গিয়ে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের আনাগোনা অনেক কম। যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন ছিল অতিরিক্ত পুলিশ। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যান চলাচল স্বাভাবিক দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আন্দোলনকারীদের রাখা গাছের গুঁড়ি সরিয়ে ফেলা হয়েছে সকালের দিকেই। ফলে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে ছোট যানবাহনগুলো চলাচল স্বাভাবিক ছিল। যদিও রাবি বন্ধ ছিল। তারপরও সকালের দিকে কিছু কিছু শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে বন্ধুবন্ধবিদের সাথে আড্ডা দিতে দেখা যায়। তবে রাবি ক্যাম্পাস এখনো থমথমে অবস্থায় রয়েছে। শিক্ষার্থীরাও অনেকটাই ভয় ও বিভিন্ন শঙ্কায় দিন পার করছেন।

এদিকে রোববার রাত ৮টার দিকে রেললাইনে আগুন দেয়ার পর রাত সাড়ে ১২টা থেকে ট্রেন চলাচলও স্বাভাবিক হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল করিম। রাতেই রেলওয়ের কর্মকর্তারা এসে ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন মেরামত করে ট্রেন চলাচল উপযোগী করেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘ আমরা প্রশাসনের মধ্যে বৈঠক করেছি। আসলে এ ঘটনায় কী করা যায় সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ? পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে তাদের দাবিগুলো শুনে পদক্ষেপ নেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য রাবি ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের রাবির মধ্যে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞাজারী করা হয়েছে।