রাবিতে বেড়েছে মশার উপদ্রব, অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা

গোলাম রববিল, নিজস্ব প্রতিবেদক:

হালকা শীত পড়তেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বেড়েছে মশার উপদ্রব। মশার কামড়ে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা। দিনের বেলা মশার উপদ্রব একটু কম হলেও রাতের বেলায় ক্যাম্পাসের সর্বত্রই মশার উপদ্রব অনেক বেড়ে যায়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসের ড্রেন ও জলাশয়গুলোতে অতিরিক্ত আবর্জনা এবং ঝোঁপঝাড়, জঙ্গল, হলের বাথরুম ও ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। মশা নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তারা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সৈয়দ আমীর আলী হল, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক হল, রোকেয়াসহ রাবির বিভিন্ন আবাসিক হলের আশেপাশে ঝোঁপঝাড় রয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের ড্রেন আবর্জনার স্তুপ হয়ে আছে। এতে সহজেই মশার প্রজনন হার বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা একে ফজলুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তামিম  বলেন, সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। হলে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সবসময় মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, মশার অত্যাচারে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছি না। পড়াশোনার পরিবেশ ও মনযোগ নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও ডেঙ্গু নিয়েও ভয়ে আছি। মশার সংখ্যা এত বেশি যে কয়েল জ্বালিয়েও মশা দূর হচ্ছে না। ক্যাম্পাসে মশার সমস্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

রাবির তাপসী রোকেয়া হলের আবাসিক ছাত্রী শিউলি বিনতে রেজা বলেন, হলে মশার পরিমাণ এতই বেড়েছে যে মশারি টাঙিয়ে লাভ হচ্ছে না। মশারির ভিতরও মশা প্রবেশ করছে।

হল প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক ড. মো. শামীম হোসেন বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছি। ফগার মেশিন ব্যবহারের বিষয়ে উপাচার্য স্যার সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেবেন।

বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম হোসেন বলেন, ‘এখন মশার প্রজননের সময়। এসময় মশার কামড়ে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়াসহ শিক্ষার্থীরা নানা মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর বলেন, ক্যাম্পাসে মশার উপদ্রব আসলেই বেড়েছে। আমাদের দুইটি ফগার মেশিন আছে। স্টুয়ার্ড শাখাকে নিয়মিত মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলেছি। প্রতি মাসে অন্তত দুইবার এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, এবিষয়টি উপাচার্য নিজে তত্ত্বাবধান করেন। সমস্যা সমাধানের জন্য উপাচার্যের সাথে কথা বলবো।

জি/আর