বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মেসে নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ এবং ৫০ হাজার টাকা না দিলে সামাজিক মাধ্যমে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকির ঘটনায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে করা মামলার প্রধান আসামি মো. মাহফুজুর রহমানকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মাহফুজের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
এ বি এম আলতাফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ২০২০ সালের ২৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাহফুজুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাজলা সাঁকোপাড়া এলাকার একটি মেসে নিয়ে যান। সেখানে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন তিনি। ওই সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন তার বন্ধু বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী প্লাবন সরকার, রাফসান, জয়, জীবন ও বিশাল।
পরে সেই ছাত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে ধারণ করা ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে গভীর রাতে ওই ছাত্রীকে ছেড়ে দেন তারা।
এরপর ওই বছরের ২৭ জানুয়ারি দুপুরে ধর্ষণের শিকার ছাত্রী মতিহার থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে মাহফুজুর রহমান এবং তার দুই বন্ধু প্লাবন সরকার ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র রাফসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে ধর্ষণের ভিডিওসহ মোবাইল জব্দ করা হয়।
