নিজস্ব প্রতিবেদক,চাঁপাইনবাবগঞ্জ: রাত পোহালেই সংঘর্ষের উৎকন্ঠা নিয়েই চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন। আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে ৬ টি খুনের এ ওয়ার্ডে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ৩ তিন আগে অর্ধশত ককটেল বিস্ফোরনের পর প্রশাসনের তীক্ষ নজরদারীতে ভোটগ্রহন হতে যাচ্ছে বুধবার।
এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন চারজন কাউন্সিলর পদপ্রার্থী। তারা হলেন- খাইরুল আলম জেম (পানির বোতল প্রতীক), গোলাম আজম (উটপাখি প্রতীক) ও সফিকুল ইসলাম পাশবান (পাঞ্জাবী) এবং আব্দুস সামাদ(ডালিম)।
নির্বাচন অফিস জানায়, স্থগিত হওয়া ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন রয়েছে বাড়তি পুলিশ, র্যাব। এছাড়াও বিজিবির সদস্যরা টহল দিবেন। স্থানীয়রা ভোটররা সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমান জানান, ৩১ মার্চ বুধবার নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নির্বাচনের দিন দুটি ভোট কেন্দ্রে দুজন ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব, গ্রাম পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়াও বিজিবির সদস্যরা টহল দিবেন। সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে জেলা আইনশৃংখলা কমিটির সভায় মর্দানায় স্থগিতকৃত ভোট সুষ্ঠভাবে গ্রহণ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে সজাগ থাকার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মিঠুপুর ও মর্দানা এ ২ টি কেন্দ্রকেই গুরুত্বপূর্ন হিসেবে চিহ্নিত করে ই ভি এমে সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। এ ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৩ হাজার ৪শ ৩৫ জন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারী শিবগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচন হলেও ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুস সালামের মৃত্যুজনিত কারণে ওই পদে নির্বাচন স্থগিত করে ৩১ মার্চ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে। এর আগে মেয়র ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচন সম্পন্ন হয়।
স/রি
